নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরে উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই সে রাজ্যে জেনারেল ক্যাটেগরি-র গরিবদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার সঙ্গে তফসিলি জাতি, জনজাতির জন্য পদোন্নতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীরের সংরক্ষণ আইনে এত দিন নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন। এ বার থেকে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার মানুষরাও এই সুবিধা পাবেন। এতে কাশ্মীর উপত্যকার পাশাপাশি জম্মুর মানুষরাও সুবিধা পাবেন বলে সরকারি সূত্রের দাবি। এ জন্য একটি অধ্যাদেশ ও সাংবিধানিক নির্দেশ জারি করবে কেন্দ্র। তবে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বা ৩৫এ অনুচ্ছেদে কোনও বদল হচ্ছে না বলে কেন্দ্র স্পষ্ট করে দিয়েছে।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, সংবিধানের ৩৭০ ধারার জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভাতেও পাশ করাতে হয়। সে জন্য পদোন্নতিতে সংরক্ষণ ও গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আইন সেখানে এখনও কার্যকর হয়নি। তবে রাজ্যপালের সুপারিশ মেনে আজ অধ্যাদেশ আনার সিদ্ধান্ত।
রাজ্যপালের সুপারিশ মেনে কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করে ২০০৪-এর জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ আইনে সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষও সংরক্ষণ পাবেন। একই সঙ্গে একটি সংবিধান সংশোধনী নির্দেশ জারি হবে। এর মাধ্যমে তফসিলি জাতি-জনজাতির জন্য পদোন্নতিতে সংরক্ষণ ও জেনারেল ক্যাটেগরির গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হবে।