তিস্তা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই মোদী সরকারের জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান আজ জানিয়ে দিলেন, নদীর জলের বিষয়টিকে রাজ্য তালিকা থেকে যৌথ তালিকায় আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। বালিয়ান অবশ্য তিস্তার কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করেননি। তাঁর মতে, নদী যৌথ তালিকায় এলে নানা রাজ্যের মধ্যে নানা মত এড়ানো যাবে।
এ বছরের জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী ‘জল’কে যৌথ তালিকায় আনা নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়েছিলেন। সেই সময়ই তিনি মানস-সঙ্কোশ-তিস্তা-গঙ্গা-মহানদী-গোদাবরীর সংযুক্তির একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথাও বলেন। নদীকে যৌথ তালিকায় আনতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
বিদেশ মন্ত্রকের এক সূত্রের মতে, তিস্তা নিয়ে আপাতত তিনটি ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। এক, যৌথ তালিকায় এনে নদীর বিষয়ে কেন্দ্রের এক্তিয়ার বাড়ানো। দুই, মমতাকে আরও বোঝানোর চেষ্টা করা। তিন, তাতেও কাজ না হলে একতরফা এগোনোর কথা ভাবা। দিল্লিতে হাসিনাকে পাশে নিয়ে মোদী বলেছেন ‘‘আমার ও আপনার সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তির সমাধান হতে পারে।’’ তৃণমূলের কেউ সরকারি ভাবে কিছু না বললেও মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ে কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে রাজ্যের সমস্যার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তৃণমূলের কথায়, বাজপেয়ীর আমলে নদী সংযুক্তির প্রস্তাব এলেও পরে তা এগোয়নি। সেটা হলে তিস্তার জলই ঢাকাকে দেওয়া যায়।
তবে তিস্তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন, কেন্দ্র তাকে আমল দিচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আজ বলেন, ‘‘দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে, সেটাই দিল্লির অবস্থান।’’