অভিন্ন দেওয়ানি বিধিই কেন্দ্রের লক্ষ্য

খোদ আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আইন কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আর বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী খোলাখুলি জানিয়ে দেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক খারিজের পরে এ বারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিই সরকারের লক্ষ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ১০:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাক খারিজ হওয়ার পরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায় মোদী সরকার। চলতি বছরের শেষেই সর্বদল বৈঠক ডেকে এই নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিতে চাইছে কেন্দ্র।

Advertisement

বিজেপির বক্তব্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত দেশে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে না। বিজেপির সব ইস্তেহারেই সে কথা লেখা আছে। আইন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার ভার আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গোয়াতে এ ধরনের আইনও রয়েছে। তার উপর তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের গতকালের রায়টি আইন কমিশন খতিয়ে দেখে শীঘ্রই রিপোর্ট দেবে। তারপর সর্বদল বৈঠক করে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।

খোদ আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আইন কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আর বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী খোলাখুলি জানিয়ে দেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক খারিজের পরে এ বারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিই সরকারের লক্ষ্য।

Advertisement

তবে সরকার এখনই এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাইছে না। কারণ, এ নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তিন তালাক নিয়ে এখন নরেন্দ্র মোদীর জয়গান করছেন বিজেপি নেতারা। এখনই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে কেউ বলতেই পারেন— মুসলিম মহিলাদের সম্মান দেওয়া নয়, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাই আসল লক্ষ্য মোদীর!

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সরকারের এই মনোভাব টের পেয়ে শঙ্কায় বিরোধীরা। এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতে, রায় দেওয়ার সময়েই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে মতভেদ ছিল। তাতেই স্পষ্ট, বিষয়টি কতটা স্পর্শকাতর। এর পরে কী করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর কথা ভাবতে পারে মোদী সরকার? কংগ্রেসের সলমন খুরশিদও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সকলের সম্মতি ছাড়া এটি সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement