RTI

রাজনৈতিক দান থাক গোপনই: কমিশন

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট কিছু শাখা থেকে নির্বাচনী বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৭
Share:

—ফাইল চিত্র

রাজনৈতিক দলগুলিকে কারা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করাটা ‘জনস্বার্থের বিষয় নয়’ বলেই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। এ ব্যাপারে তথ্যের অধিকার আইনে আনা একটি আর্জিকে খারিজ করতে গিয়ে কমিশন এ কথা বলেছে।

Advertisement

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট কিছু শাখা থেকে নির্বাচনী বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা যায়। কারা, কোন কোন রাজনৈতিক দলগুলিকে কত দান করেছেন— সেই তথ্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার থেকে জানতে চেয়েছিলেন পুণের এক আরটিআই কর্মী বিহার দুর্বে। কিন্তু সেই তথ্য দিতে অস্বীকার করে ব্যাঙ্ক। ওই আরটিআই কর্মী তার পরে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের সামনে বিষয়টি নিয়ে আসেন। যুক্তি দেন, রাজনৈতিক দলগুলির স্বার্থ দেখার বদলে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার উচিত ছিল মানুষের স্বার্থ দেখা। স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার কথা ভেবেই এই তথ্য জানানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন দুর্বে। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন অবশ্য সে কথা মেনে নেয়নি।

স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প অনুযায়ী, ওই বন্ড কারা কিনছেন, সেই তথ্য গোপন রাখা হয়। তথ্য কমিশনার সুরেশ চন্দ্রও ওই আরটিআই কর্মীর আর্জি খারিজ করে জানিয়েছেন, দাতা ও গ্রহীতার গোপনীয়তা রক্ষার যে প্রশ্ন রয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়ার মতো জনস্বার্থের বিষয় এখানে জড়িয়ে নেই। ফলে এই তথ্য প্রকাশ আরটিআই আইনের পরিপন্থী বলে স্টেট ব্যাঙ্ক যে যুক্তি দিয়েছে, তাকেই মেনে নেওয়া হচ্ছে। কমিশনের নির্দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুর্বে। তাঁর মতে, এটা অযৌক্তিক নির্দেশ। নির্বাচন কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আইন কমিশনের আপত্তির প্রসঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্দেশে উল্লেখ করা হয়নি। আর এক সময়ে এই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনই ছ’টি জাতীয় দলকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় এনেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement