বিজয় মাল্য, ললিত মোদীদের নিশানা করলেন অরুণ জেটলি। জানিয়ে দিলেন, কর বা ঋণ ফাঁকি দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আইন করার কথা ভাবছে সরকার।
বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিনই কিং ফিশার এয়ারলাইন্সের মালিক বিজয় মাল্যকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ এনে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছিল বিজেপি। আজ বাজেটে নাম না করে মাল্যের বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন জেটলি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আর্থিক আইন ভেঙে অপরাধীরা বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। সরকার এমন একটি আইন করার কথা ভাবছে যাতে এই ধরণের অপরাধীদের দেশের ভিতরে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যায়।’’
শুধু বিজয় মাল্যই নয়, প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেটলি। বেআইনি আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত ললিত মোদী ইডি-কে এড়াতে লন্ডনে পালিয়েছেন। আজ বাজেটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেই বলেন, ‘‘ব্রিটেনের মতো সভ্য দেশে কী ভাবে এই অপরাধীরা আশ্রয় পায়, তাতে অবাক হতে হয়।’’
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্কের দেনা রেখে ভারত থেকে পালিয়ে যান মাল্য। তিনি এবং ললিত দু’জনেই যে ব্রিটেনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন, তার ছবি মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, মাল্যকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তাকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ দেওয়ার সময় বিজেপি কেন চুপ ছিল—তা নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস।
মোদীর ভাবমূর্তির প্রশ্নে বিষয়টি যথেষ্ট অস্বস্তিকর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক দিন ধরেই বিজেপি তাই পাল্টা আক্রমণে গিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে লেখা মাল্যর চিঠিকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি, যেখানে তিনি লোকসানে চলা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের পুনরুজ্জীবনের জন্য ঋণ অনুমোদন করাতে হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন। বিজেপির অভিযোগ, এই ঋণ অনুমোদনে সনিয়া গাঁধীরও সক্রিয় সমর্থন ছিল। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে মাল্য, ললিত মোদীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ইঙ্গিত দিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ অনেকটাই ভোঁতা করে দিতে চেয়েছে মোদী সরকার।