কুলভূষণের ফাঁসি নিয়ে পাক সামরিক আদালতের রায়ের সঙ্গে নওয়াজ শরিফ সরকার একমত কি না, তা নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্ন তুলে দিল ভারত।
এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল ওয়াগলে আজ বলেন, ‘‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু মাত্র কয়েক মাস আগেই শরিফ সরকার জানিয়েছিল, কুলভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট তথ্য নেই। কুলভূষণকে কূটনৈতিক সাহায্য করতে দেওয়ার শর্ত হিসেবে তারা আমাদের কাছে তদন্তে সাহায্যও চেয়েছিল। তারপরেই হঠাৎ সামরিক আদালতের এই নির্দেশ। ফলে এ থেকে কেউ নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’’
কুলভূষণকে বাঁচাতে ভারত চিরাচরিত প্রথার বাইরে গিয়েও ব্যবস্থা নিতে তৈরি বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আজ পাকিস্তানের সেনাকর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত েনন, কুলভূষণের শাস্তির বিষয়ে আপস করা হবে না। রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর বাজওয়ার নেতৃত্বে কোর কম্যান্ডারদের বৈঠক হয়। সেখানে কুলভূষণের বিষয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, পাকিস্তান-বিরোধী কাজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পাক সেনাই দাবি করেছিল, ভারতের সেনা অফিসার কুলভূষণকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ভারতের দাবি, তাঁকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়।
কুলভূষণের মুক্তির জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পাকিস্তানের আদালতে সশরীর হাজির করার আবেদন (হেবিয়াস কর্পাস) করার চেষ্টা করছেন কূটনীতিকরা। কেউ যদি ভাবেন তাঁকে অন্যায় ভাবে জেলে রাখা হয়েছে, তা হলে তিনি হেবিয়াস কর্পাস-এর জন্য আবেদন করতে পারেন। আদালত বন্দিকে হাজির করিয়ে বিচার করে। কারাবন্দির হয়ে অন্য কেউও আবেদন করতে পারেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আজ জানিয়েছেন, কুলভূষণকে পাকিস্তানের কোন শহরে বা কোন জেলে রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে নয়াদিল্লির কাছে কোনও তথ্য নেই। কারণ, কুলভূষণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে ১৩ বার অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। ফের পাকিস্তানকে একই অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মুখপাত্র জানান, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে নিয়মিত পাক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।