National News

কমছে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, স্বশাসিত সংস্থাও

বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে জুড়ে থাকা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্বশাসিত সংস্থা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি বড় অংশকে ছেঁটে ফেলার পথে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংস্থাগুলি ক্রমশই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করেন নরেন্দ্র মোদী। তাই এগুলির জন্য আর টাকা ঢালতে রাজি নন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ১২:০২
Share:

বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে জুড়ে থাকা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্বশাসিত সংস্থা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি বড় অংশকে ছেঁটে ফেলার পথে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংস্থাগুলি ক্রমশই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করেন নরেন্দ্র মোদী। তাই এগুলির জন্য আর টাকা ঢালতে রাজি নন তিনি।

Advertisement

প্রস্তুতি চলছিল বছরখানেক আগেই। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব রতন ওয়াটালের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল একটি কমিটি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন ওয়াটাল। সূত্রের খবর, লাভ-ক্ষতি বিশ্লেষণ করে সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, প্রতি তিনটি স্বশাসিত সংস্থার মধ্যে একটিকে বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। বাকি যা থাকবে, সেগুলির মধ্যেও একটির সঙ্গে আর একটিকে জুড়ে দেওয়া হতে পারে। বস্তুত, দুই-তৃতীয়াংশ স্বশাসিত সংস্থায় অর্থ-সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে মোদী সরকার।

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্বশাসিত সংস্থার সংখ্যা ৭০০ ছুঁতে চলেছে। এর মধ্যে আইআইটি-আইআইএম যেমন আছে, তেমনই আছে বিদেশ মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ কিংবা কৃষি মন্ত্রকের অধীন নারকেল উন্নয়ন বোর্ড (কোচি)। আছে বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে চা, কফি, মশলা, রবারের আলাদা আলাদা বোর্ড। কী কী বন্ধ হবে আর কার সঙ্গে কোনটি মিশবে, কিছুই চূড়ান্ত নয়। তবে আইআইটি-আইআইএমের উপরে স্বাভাবিক ভাবেই কোপ পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Advertisement

গত কয়েক দশকে ছত্রাকের মতো বেড়েছে থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সংখ্যা। অবসরপ্রাপ্ত আমলা, রাজনীতিবিদ এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা থাকেন এগুলির পুরোভাগে। পঞ্চাশের দশকে থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের সংখ্যা ছিল পঞ্চাশের নীচে। এখন সংখ্যাটা তিনশোর কাছাকাছি। এই সব ক্ষেত্রে কর্মরতদের বেতন দেওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচের জন্য ২০১৭-’১৮ বাজেটে বাড়াতে হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। মোদী মনে করছেন, সরকারের নীতি স্থির করার ক্ষেত্রে এগুলির অধিকাংশেরই ভূমিকা নেই। তাই এই বিপুল টাকা খরচ করা অর্থহীন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন