কাশ্মীরে আলোচনার ক্ষেত্রে হুরিয়তের বর্ষীয়ান নেতাদের চেয়ে বিক্ষোভকারীদের নয়া প্রজন্মকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মতে, গত বছর থেকেই বিক্ষোভকারীদের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছে হুরিয়ত। উপরন্তু চলতি বছরে এনআইএ-র তদন্তের চাপে উপত্যকায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। সেই সুযোগে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে উঠে এসেছেন কিছু আন্দোলনকারী যুব নেতা। নয়া প্রজন্মের নেতাদের উত্থানের সুযোগ নিয়ে ঘরেবাইরে হুরিয়ত নেতাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে চাইছে কেন্দ্র।
কাশ্মীরে কেন্দ্রের বিশেষ দূত দীনেশ্বর শর্মার কথায়, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের তরুণেরা হলেন রাজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমি তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা জেনে সেই মতো সমাধান বের করার চেষ্টা করব।’’ অনেকের মতে, এর মধ্যে একটি কৌশলগত দিক রয়েছে। উভয় শিবিরের মধ্যে ভাঙন ধরিয়ে কাশ্মীরের আন্দোলনকে আরও দুর্বল ও স্তিমিত করার কৌশল নিতে চাইছে কেন্দ্র। আর তা করার জন্যই প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র।
শুরু থেকেই তাই এই নিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী তথা লেখক এ জি নুরানি। তাঁর মতে, দীনেশ্বরকে ঠিক কী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।