রামমন্দির অধ্যাদেশ এখনই চাইছে না কেন্দ্র

একান্ত প্রয়োজন পড়লে ভোটের আগে যে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট অধিবেশন হবে, সেখানে ওই অধ্যাদেশ আনার কথা ভাববে দল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০২
Share:

—ফাইল চিত্র।

চাপ রয়েছে সঙ্ঘ পরিবার ও সাধু-সন্ত সমাজের। চাপ রয়েছে শরিক শিবসেনারও। তবুও জানুয়ারি মাসে রামমন্দির সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় না-দেখে অধ্যাদেশ আনতে চাইছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্ব আজ জানিয়েছেন— অন্তত শীতকালীন অধিবেশনে তো অধ্যাদেশ নয়ই। একান্ত প্রয়োজন পড়লে ভোটের আগে যে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট অধিবেশন হবে, সেখানে ওই অধ্যাদেশ আনার কথা ভাববে দল।

Advertisement

লোকসভার আগে মোদী সরকারের হাতে সময় রয়েছে মাস ছয়েক। তাই দেশের সাধু-সন্ত সমাজের একটি বড় অংশের মতে, ২০১৯ সালের ভোটের পরে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা স্পষ্ট নয়। তাই শীতকালীন অধিবেশনেই মন্দির নির্মাণ নিয়ে অধ্যাদেশ এনে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। কিন্তু বিজেপি এ নিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো চাইছে না। কারণ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। অযোধ্যা মামলার শুনানি কবে থেকে শুরু হবে, তা জানুয়ারির আগে জানাবে না আদালত। তাই সঙ্ঘ বা শিবসেনা চাইলেও অধ্যাদেশ জারি করে বিচার ব্যবস্থাকে নতুন করে চটাতে রাজি নয় বিজেপি। দলের সভপাতি অমিত শাহ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বিজেপি রামজন্মভূমিতেই মন্দির গড়ার পক্ষপাতী। কিন্তু তা সাংবিধানিক পথে হেঁটেই হবে।

যদিও বিষয়টি ছাড়তে নারাজ সাধু সমাজ। গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া ধর্ম সংসদে আইন তৈরি করে মন্দির নির্মাণের দাবি উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের অনেক বিজেপি নেতাও এই দাবির পক্ষে। কিন্তু এ ভাবে মন্দির নির্মাণে আইন করা যায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিজেপি শিবিরে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আইনটি লোকসভায় পাশ হলেও, রাজ্যসভায় আটকে যেতে পারে। আর বিরোধীরা বলছেন— বিজেপি ভাল করেই জানে, রামমন্দির নিয়ে আগের মতো উন্মাদনা তৈরি কঠিন। তাই মন্দির নির্মাণের বিষয়টি উস্কে দিয়ে আসলে জল মাপতে চাইছে বিজেপি। তবে বিজেপির একাংশ কিন্তু লোকসভার আগে প্রয়োজন পড়লে অধ্যাদেশ আনার পক্ষে। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে বাজেট অধিবেশন। পরিস্থিতি বুঝে একেবারে শেষ বেলায় রামমন্দির নির্মাণে অধ্যাদেশ আনার কথা ভাববে সরকার।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন