Kumbh Mela Stampede

কুম্ভকাণ্ডে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ‘গোপন করা হচ্ছে’! সংসদে দুই কক্ষেই সরব বিরোধীরা, হইহট্টগোল

উত্তরপ্রদেশ সরকারের হিসাবে কুম্ভমেলা পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কুম্ভকাণ্ড নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তোলেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০২
Share:

গত বুধবার ভোরে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই এ নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। সংসদের দুই কক্ষেই কুম্ভ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন কক্ষে। ‘কুম্ভ নিয়ে জবাব দাও’ বলে স্লোগান তুলতে থাকেন বিরোধী সাংসদেরা। তাঁদের দাবি, পদপিষ্টের ঘটনায় যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের নামের তালিকা দিতে হবে সরকারকে। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, আসলে তার থেকে আরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলেও দাবি বিরোধীদের। রাজ্যসভা থেকেও ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদেরা।

Advertisement

গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় মৌনী অমাবস্যার ‘শাহী স্নান’ চলছিল। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করার জন্য প্রচুর পুণ্যার্থীর ভিড় হয়েছিল। সেই সময়ে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩০। তবে অনেকের এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। ওয়েলে নেমে প্রতিবাদও জানান তাঁরা। নেতৃত্বে ছিলেন, লোকসভায় কংগ্রেসের উপদলনেতা গৌরব গগৈ এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফারও দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। মোদী এবং যোগীর বিরুদ্ধে সমস্বরে স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা।

লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধী সাংসদদের শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। অসমের কংগ্রেস সাংসদ প্রদ্যোৎ বরদোলুইয়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষ আপনাদের সংসদের পাঠান তাঁদের হয়ে প্রশ্ন করার জন্য। টেবিল ভাঙার জন্য নয়। যদি আপনি সেটিই করতে চান, তবে আরও জোরে জোরে টেবিল বাজান। ভেঙে ফেলুন।” লোকসভার বিরোধীদের সাংসদদের উদ্দেশে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।

Advertisement

কিছু সময় পরে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ অলোক শর্মাকে নিজের প্রশ্ন পেশ করার জন্য বলেন লোকসভার স্পিকার। তখনও স্লোগান এবং হইহট্টগোল চলছিল বিরোধী সাংসদদের। পরে অবশ্য লোকসভার কার্যপ্রণালী এগোতে শুরু করে। অন্য দিকে, রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদেরা স্লোগান তুলতে তুলতে অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে যান। পরে আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা সংসদচত্বরে বলেন, “মানুষ জানতে চায়, এর দায় কার। এটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement