মেঘালয়-মণিপুরে চেকগেট, হেনস্থা বাংলাভাষীদের

অসমের বরাক উপত্যকা ছাড়াও ত্রিপুরা, মিজোরামের বাঙালিদেরও মেঘালয় হয়েই দেশের অন্যত্র যেতে হয়। কাল সকালে অসম-মেঘালয় সীমা সংলগ্ন রাতাছড়ায় গেট বসিয়ে দেয় পুলিশ। সঙ্গে রয়েছেন খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। এর ফলে বাঙালি হলেই মুশকিলে পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০৫:৪৩
Share:

প্রবেশ নিষেধ: অসম-মেঘালয় সীমায় খাসি ছাত্রদের চেক গেট। অসম থেকে আসা মানুষের তল্লাশি করছে তারা। নিজস্ব চিত্র

নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ হতেই তালিকাছুটদের ঠেকাতে চেক গেট বসিয়ে দিল মেঘালয় ও মণিপুর। মূল লক্ষ্য বাঙালিরা। গাড়ি থেকে নামিয়ে সাধারণ যাত্রী থেকে পর্যটক, নানা ভাবে তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

অসমের বরাক উপত্যকা ছাড়াও ত্রিপুরা, মিজোরামের বাঙালিদেরও মেঘালয় হয়েই দেশের অন্যত্র যেতে হয়। কাল সকালে অসম-মেঘালয় সীমা সংলগ্ন রাতাছড়ায় গেট বসিয়ে দেয় পুলিশ। সঙ্গে রয়েছেন খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। এর ফলে বাঙালি হলেই মুশকিলে পড়তে হচ্ছে। নিজেদের ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত করা গেলে তবু অন্যরা রেহাই পাচ্ছেন। কিন্তু বরাকের বাঙালিদের অধিকাংশকে রাতাছড়া থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। এনআরসির খসড়ায় নাম ওঠার প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে তাঁদের কাছে। নইলে ১৯৭১-এর আগের কাগজপত্র। খসড়ার প্রমাণপত্র অনেকেই এখনও সংগ্রহ করতে পারেননি। আর ৭১-এর কাগজপত্র কতজনই বা সঙ্গে রাখেন!

মেঘালয় তবু ১৯৭১ সালের আগেকার নথি খুঁজছে। মণিপুর সদ্য পাশ হওয়া ইনার লাইন পারমিট সংক্রান্ত বিলের দোহাই দিয়ে বাঙালিদের কাছে ১৯৫১ সালের আগেকার নথি দেখতে চায়। অসমের অনেকে তা দেখাতে না পেরে জিরিবাম থেকেই যাত্রায় ভঙ্গ দিচ্ছেন। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব। লোকসভায় তিনি আজ বলেন, ‘‘মেঘালয়ে অসমের বাঙালিদের শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে।’’ নাম বাদ পড়া ৪০ লক্ষ নাগরিকের নিরাপত্তার দাবি করেন তিনি।

Advertisement

অসমের যাত্রিবাহী গাড়ি এসকর্ট দিয়ে মেঘালয় পার করানোরও আর্জি জানিয়েছেন। অধিবেশন শুরু হতেই আজ সুস্মিতা দেব ওয়েলে নেমে আসেন। পরে জিরো আওয়ারেও প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। মেঘালয়ে বরাকের যাত্রীদের নিগ্রহ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ইয়ুথ এগেনস্ট সোশ্যাল ইভিল (ইয়াসি) নামে বরাকভিত্তিক এক সংগঠন। আজ তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকপত্র পাঠিয়ে বলেন, এখনই এনআরসি-ছুটদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয় বলে সুপ্রিম কোর্ট জানানোর পরে মেঘালয়ে তাঁদের যাতায়াত ঠেকাতে গেট বসে গেল! শুরু হয়ে গেল মারপিট। তাঁরা এই সব ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement