ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন চেন্নাই। ছবি: পিটিআই।
টানা ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাবুডুবু খাচ্ছে চেন্নাই। বিপর্যস্ত জনজীবন। শ্রীলঙ্কার কাছে বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী বেশ কিছু এলাকা-সহ চেন্নাইয়ে। বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শহরের বহু জায়গায়।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রীকে তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ পরিত্যক্ত কালভার্টে
কোথাও হাঁটু সমান জল, তো কোথাও কোমর সমান। ওই দিন রাত থেকেই প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের যান চলাচল। রাজ্য আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবারও উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে সরকারে পক্ষ থেকে রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) গত রাতে টুইট করে, ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা পেয়েই সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কমিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
এক চেন্নাইবাসী জানান, যে ভাবে গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ২০১৫-র স্মৃতি ফিরে আসছে। ওই বছরে ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার কাজ শুরু করেছে। গত মঙ্গলবারেই রাজ্যের পুরসভা বিষয়ক মন্ত্রী এসপি ভেলুমণি দাবি করেন, এ বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতোই। আমেরিকা বা ইংল্যান্ড যে ভাবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, তার থেকেও অনেক বেশি এগিয়ে তাঁদের রাজ্য। কিন্তু তাঁর এই দাবির ফানুস এক নিমেষেই উড়ে গিয়েছে গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ পরিস্থিতে। প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। তার পরেও তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি আমেরিকার যে শহরগুলোতে বন্যা হয়েছে, তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে সেখানকার প্রশাসনকে। কিন্তু এই রাজ্যে যে পরিস্থতি সৃষ্টি হয়েছে, তা সরকার যথেষ্ট ভাল ভাবেই মোকাবিলা করছে।