Chief of Army Staff on Pakistan and China

চিন-পাকিস্তানের যোগসাজশ অস্বীকারের উপায় নেই, দিল্লির জন্য তা যথেষ্ট উদ্বেগের, মন্তব্য ভারতীয় স্থলসেনাপ্রধানের

ভারতের স্থলসেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছেন, পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। এই দুই দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫ ১২:০৩
Share:

ভারতীয় সেনার স্থলবাহিনীর প্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। তা অস্বীকার করার উপায় নেই। জানালেন ভারতের স্থলসেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। এই দুই দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে বলে তাঁর দাবি। উপেন্দ্র জানিয়েছেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাস কমে পর্যটন বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উপেন্দ্র বলেন, ‘‘আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তা প্রায় ১০০ শতাংশ। পাকিস্তানের যাবতীয় সরঞ্জাম চিন থেকে আসে। দু’দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, এটা বাস্তব।’’

জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে, দাবি স্থলসেনাপ্রধানের। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে আগামী দিনে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে বলে মনে করেন তিনি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে উপেন্দ্র জানান, ২০১৮ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের পরিমাণ ৮৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমকেই এর জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

উপেন্দ্র জানিয়েছেন, কাশ্মীরে জঙ্গিদলে অনুপ্রবেশ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। গত কয়েক বছরে মাত্র ৪৫ জনকে এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। তবে সন্ত্রাস কমে কাশ্মীরে বেড়েছে পর্যটন। স্থলসেনাপ্রধান জানান, অমরনাথ যাত্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, পর্যটকেরা আরও বেশি করে জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন। ভারতীয় সেনা দেশের উত্তর-পশ্চিমের এই উপত্যকায় সন্ত্রাসের পরিবর্তে পর্যটনের দিকে নজর ঘোরাতে পেরেছে।

পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপেন্দ্র। তিনি জানান, গত বছরে কাশ্মীরে যত জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। ফলে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে অনবরত বহিরাগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ভারত। তাঁর কথায়, ‘‘নিজেদের চরমপন্থার কারণেই ভুগছে পাকিস্তান। নিজেদের আরও গভীর সঙ্কটে ডুবিয়ে দিচ্ছে তারা। আমরা পাকিস্তানে স্থিতাবস্থা চাই। পাকিস্তান জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত হোক, সেটা চাই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement