অভিনন্দন: বিজেপির সদর দফতরে অভ্যর্থনা জয়ের কান্ডারি নরেন্দ্র মোদীকে। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপির হাত শক্ত হওয়ার প্রভাব ভারত-চিন সম্পর্কে পড়বে বলে ধারণা সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমের। তাদের মতে, নরেন্দ্র মোদী কড়া অবস্থান নেওয়ার পক্ষপাতী। এই ধরনের মানসিকতার শাসকের সঙ্গেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।
ভারতের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের ফল নিয়ে এক সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে চিনের সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’। তাদের মতে, উত্তরপ্রদেশ ও অন্য কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি বিপুল সমর্থন পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদী আরও শক্তিশালী হয়েছেন। এর প্রভাব পড়বে ভারত-চিন সম্পর্কেও।
চিনা সরকারি মুখপত্রের মতে, মোদী ‘কাজের লোক’। বিভিন্ন বিষয়ে কড়া অবস্থান নিতে তিনি পিছপা হন না। তাঁর নেতৃত্বে ভারতের বিদেশনীতির ধরন বদলে গিয়েছে। আগে কাউকে না চটানোর নীতি নিয়ে চলত দিল্লি। কিন্তু এখন নানা দেশের বিতর্কে নিজেদের প্রয়োজনে কড়া অবস্থান নিচ্ছে তারা। বেজিং ও মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু একই সঙ্গে আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাও বাড়িয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার মার্কিন নীতিকে সমর্থন করেছেন মোদী। দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে আমেরিকাকে সমর্থন করেছেন।
‘গ্লোবাল টাইমস’-এর মতে, ‘‘ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। কিন্তু তাতে মোদী কড়া অবস্থান বদলানোর কোনও লক্ষণ দেখাননি। বরং ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গেই দিওয়ালি কাটিয়েছেন।’’ মুখপত্রটির মতে, কড়া অবস্থান যাঁরা নিতে পারেন তাঁরাই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত কার্যকরের ক্ষমতা বেশি হয়। সরকারি মুখপত্রের মতে, মোদীর সঙ্গে কথা চালালে সীমান্ত সমস্যা মেটানো সম্ভব হতে পারে।