চিনা বাজি বিক্রিতে ভাটা বরাকে

এবিভিপি জেলা প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানায়। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সীমান্ত চেতনা মঞ্চ মিছিল করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৭
Share:

চিনের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতার প্রভাব পড়ল শিলচরের বাজি বাজারেও।

Advertisement

ক’বছর ধরে অসমের বরাকের এই অঞ্চলে চিনা আতসবাজির চাহিদা বাড়ছিল। বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জায় সে দেশে তৈরি সামগ্রীর কদরই ছিল বেশি। এ বার সরব হয় বিভিন্ন গেরুয়া সংগঠন। এবিভিপি জেলা প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানায়। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সীমান্ত চেতনা মঞ্চ মিছিল করে। পরে কাছাড়ের জেলাশাসক এস লক্ষ্মণন চিনে তৈরি বাজি-পটকার কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সরাসরি চিন থেকে তাঁরা আতসবাজি কেনেন না। তা আসে দিল্লি, তামিলনাড়ুর সরবরাহকারীদের মাধ্যমে। তাঁরা কোথা থেকে কী কিনে নিয়ে আসেন, তা শিলচরের ব্যবসায়ীর পক্ষে বোঝা মুশকিল। দেশে নির্মিত কী বিদেশে, বরাক উপত্যকায় বাজি-পটকা সবই আসে আইনি পথে। সরকার সে জন্য কর সংগ্রহ করে।

Advertisement

গৈরিক সংগঠনগুলি এ বার বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে চিনের বাজির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ক্রেতাদের একাংশ এ বার চিনের জিনিস কিনতে আপত্তি জানান। তা ছাড়া, জিএসটি-র জেরে এ বার বাজিতে কর বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে বাজির দাম অনেকটা বেশি। পকেটের দিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ বাজি কেনার পরিমাণ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের হিসেব, সব মিলিয়ে এ বছর বাজি বিক্রি কমেছে ৩০%। তাঁদের কথায়, চিনা বাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গত বছরই শুরু হয়েছিল। তাই এ বার কম ‘অর্ডার’ পাঠানো হয়েছিল। তার পরও অনেক বাজি বিক্রি হবে না বলে আশঙ্কা তাঁদের। বাজি বিক্রেতারা দুশ্চিন্তায় ভুগলেও মৃৎশিল্পীরা ফের সুদিন দেখতে পাচ্ছেন। এ বছর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে মাটির প্রদীপের। অনেকেরই বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন