China

ভুটানের সঙ্গে জমি বিবাদ নিয়ে চিনের হুঁশিয়ারি ভারতকে

ভারতের নাম না করে চিনা বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি, ‘‘ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা মেনে নেওয়া হবে না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ১৮:৫৯
Share:

চিন-ভুটান সীমান্ত ঘিরে আশঙ্কার ছায়া— ফাইল চিত্র।

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনার আবহেই ভুটানের ভূখণ্ডে ‘নজর’ ঘুরিয়েছিল চিন। তবে সরাসরি সেনা ঢোকানো নয়, এ ক্ষেত্রে পূর্ব ভুটানের সীমান্ত লাগোয়া সাকতেং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মালিকানার দাবি তোলা হয়েছিল সরাসরি আন্তর্জাতিক মঞ্চে। যদিও গত মাসে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি’ (জিইএফ)-এর সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভুটানের পাশে দাঁড়ানোয় চিনের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়নি। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছে বেজিং।

Advertisement

দিল্লির চিনা দূতাবাস সূত্রে শনিবার খবর মিলেছে, সাকতেং অভয়ারণ্য ভুটানের ত্রাশিগাং জেলার অংশ কি না, সে বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি ভারতের নাম না করে চিনা বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি, ‘‘ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা মেনে নেওয়া হবে না।’’ পূর্ব ভুটানের ওই অভয়ারণ্যের পাশেই অরুণাচল প্রদেশ সীমান্ত। লাদাখের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের জেরে বিষয়টির দিকে নজর রয়েছে নয়াদিল্লিরও।

আমেরিকা-স্থিত জিইএফ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মসূচিতে আর্থিক সাহায্য করে থাকে। চিন-ভুটান সীমান্তের পূর্ব সেক্টরে অবস্থিত ৭৪০ বর্গ কিলোমিটারের সাকতেং অভয়ারণ্যও সেই তালিকায় রয়েছে। কিন্তু গত ২৯ জুন জিইএফ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে চিনের প্রতিনিধি ওই অভয়ারণ্যের উদ্ভিদ ও প্রাণীবৈচিত্র রক্ষার জন্য ভুটানকে অনুদান দেওয়ার বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি, ওই অভয়ারণ্যের মালিকানা ভুটানের নয়, ওটি একটি বিতর্কিত অঞ্চল।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ডোভালের দীর্ঘ ভিডিয়ো কলেই কাটল জট

বৈঠকে উপস্থিত ভারতের প্রতিনিধি অপর্ণা সুব্রমণি সরাসরি চিনের দাবির বিরোধিতা করেন। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের প্রতিনিধিও বেজিংয়ের আপত্তিতে সায় দেননি। এই পরিস্থিতিতে সাকতেং সংরক্ষণ প্রকল্পে (প্রজেন্ট নম্বর ১০৫৬১) জন্য ভুটানের অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন জিইএফ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: লাদাখে উত্তেজনার আবহেই পাকিস্তানকে সশস্ত্র ড্রোন দিচ্ছে চিন​

সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ১৯৮৪ সাল থেকে বেজিং-থিম্পু ২৪ রাউন্ড বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মধ্য ও পশ্চিম সেক্টরে সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে মতভেদ থাকলেও আগের কোনও বৈঠকেই পূর্ব সেক্টরের কোথাও সমস্যা দেখা দেয়নি। ফলে সাকতেং অভয়ারণ্য নিয়ে চিনা আপত্তি পুরো বিষয়টিকে নয়া মাত্রা দিয়েছিল। প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, মধ্য সেক্টরে ভুটানকে ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ছেড়ে দিয়ে বিনিময়ে পশ্চিম সেক্টরে ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চেয়েছে চিন। অভিযোগ, সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতকে চাপে রাখতেই বেজিংয়ের এই কৌশল। সিকিম সীমান্ত লাগোয়া ভুটানের ওই ভূখণ্ডে ঢুকে চিনা ফৌজ নিয়মিত টহলদারি চালায় বলে ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন