৬২-তে আটকে দিল্লি, খোঁচা চিনা কাগজে

পারমাণবিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ঢোকার চেষ্টা নিয়ে দিল্লিকে ফের খোঁচা দিল চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৬
Share:

পারমাণবিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ঢোকার চেষ্টা নিয়ে দিল্লিকে ফের খোঁচা দিল চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেইসঙ্গে তাদের দাবি, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের দৃষ্টিভঙ্গিতেই আটকে রয়েছে ভারত। চিন কিন্তু এখন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বিশেষ আগ্রহী।

Advertisement

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলে এনএসজি-র প্লেনারি বৈঠক হয়। সেখানেই ভারতের সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে সদস্য দেশগুলি। ওই বৈঠকে ভারতের সদস্য হওয়ার পথে চিনই যে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তার পরেই এক চিনা সরকারি মুখপত্রে বোঝানোর চেষ্টা হয়, ভারত পশ্চিমী দেশগুলির মদতে ‘নাক উঁচু’ হয়ে গিয়েছে। এনএসজি-র নিয়মের জন্যই ভারত সদস্য হতে পারেনি, চিনের জন্য নয়।

এ দিন ফের দিল্লিকে ঠুকে সংবাদপত্রটি বলেছে, ভারত এখনও ১৯৬২-র যুদ্ধের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চিনকে বিচার করে। দিল্লির ধারণা, চিন আজও কৌশলগত কারণে ভারতকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ভারতকে বিচার করতে গিয়ে চিন এখন অর্থনীতিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। চিনের অনেক অঞ্চল ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করতে চায়। সংবাদপত্রটির কথায়, ‘‘ভারতের উচিত চিনের বদনাম না করে বেজিংয়ের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করা।’’ ওই স‌ংবাদপত্রেরই অন্য এক নিবন্ধে চিনের ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’ প্রকল্প ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করা হয়েছে। ওই প্রকল্পে সড়ক ও করিডরের মাধ্যমে চিনের সঙ্গে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগ গড়ে তুলতে চায় বেজিং। কিন্তু তার বেশ কয়েকটি দিক নিয়ে আপত্তি তুলেছে ভারত।

Advertisement

চিনা মুখপত্রের দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন চিনের এই প্রকল্প সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরেই দিল্লির মনোভাব বদলে যায়। নানা আপত্তি তুলে প্রকল্পটি পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল নেয় তারা। সংবাদপত্রটির কথায়, ‘‘পশ্চিমী দেশগুলির বিশেষজ্ঞরা ভারতকে ঘিরে ফেলতে চিনের কৌশল (স্ট্রিং অব পার্লস) নিয়ে অযথা হইচই করে দিল্লির রক্তচাপ বাড়িয়েছেন। তাই ভারত আর মেরিটাইম সিল্ক রুটও সমর্থন করতে রাজি নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন