গোল্ডম্যান কানহাইয়ালাল খটিক। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ কোটি টাকা না দিলে পরিণতি ভয়ানক হবে। সোনা পরে ঘুরে বেড়ানো চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে। রোহিত গোদারা গ্যাংয়ের কাছ থেকে এমনই হুমকি পেয়ে আতঙ্কিত রাজস্থানের চিতোরগড়ের ‘গোল্ডম্যান’ কানহাইয়ালাল খটিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’দিন আগে খটিকের কাছে হুমকি ফোন আসে। তার পর হোয়াট্সঅ্যাপ কলও করা হয়। যখন তিনি কোনও উত্তর দেননি, তখন তাঁকে অডিয়ো রেকর্ডিং পাঠানো হয়। সেই রেকর্ডিং পুলিশের কাছে তুলে দেন খটিক। পুলিশের কাছে খটিক অভিযোগ জানিয়েছেন যে, যদি পাঁচ কোটি টাকা না দেন, তা হলে সোনা পরার মতো অবস্থায় থাকবেন না। ওই টাকা দ্রুত দিতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি খটিকের।
এখানেও শেষ নয়। দু’বার ফোনে কোনও উত্তর না পেয়ে খটিককে পর পর আরও কয়েক বার ফোন করা হয় বলে অভিযোগ। বার বার হুমকি ফেন পেয়ে শেষমেশ কোতওয়ালি থানার দ্বারস্থ হন কানহাইয়ালাল। তিনি জানিয়েছেন, হুমকি ফোন পেয়ে তিনি আতঙ্কিত। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করছেন। পেশায় ফল ব্যবসায়ী চিতোরগড়ে ‘গোল্ডম্যান’ নামে পরিচিত। সারা দেহে সাড়ে তিন কেজি সোনার গয়না পরে ঘুরে বেড়ান।
বছর পঞ্চাশের কানহাইয়ালাল এক সময় ঠেলাগাড়ি করে দুয়ারে দুয়ারে সব্জি বিক্রি করতেন। তার পর সেই ব্যবসা ছেড়ে ফলের ব্যবসা শুরু করেন। আর এখান থেকেই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। তাঁর আপেলের ব্যবসা এখন রমরমিয়ে চলে। কানহাইয়ালাল জানিয়েছেন, সোনার গয়না তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। পরতেও ভালবাসেন। তাই ব্যবসা থেকে উপার্জনের কিছু অংশ সোনার গয়না তৈরিতে কাজে লাগান। তাঁর দাবি, এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রাণনাশের হুমকি, তোলাবাজের হুমকি পেয়েছেন। তবে এই প্রথম কোনও গ্যাংস্টারের কাছ থেকে হুমকি ফোন পেলেন তিনি।
কানহাইয়ালাল জানিয়েছেন, সুরকার, সঙ্গিতশিল্পী বাপ্পী লাহিড়ির বড় ভক্ত। তাঁর মতো সারা গায়ে সোনা পরার শখ সেই সময় থেকেই। এক বন্ধুর কাছ থেকে ২০ গ্রামের একটি সোনার চেন ধার নিয়েছিলেন কানহাইয়ালাল। সেটি কয়েক দিন নিজের কাছে রেখেছিলেন। পরে ঘুরে বেড়াতেন। আর সেই থেকেই তাঁর সোনার গয়নার প্রতি ভালবাসা। প্রতি দিন তিনি হার, আংটি এবং অন্য গয়না মিলিয়ে সাড়ে তিন কেজির সোনার গয়না পরে রাস্তায় বার হন। যার বর্তমান বাজারদর প্রায় চার কোটির বেশি।