Haryana

অসুস্থ জেনেও জোর করে অঙ্ক পরীক্ষা! স্কুলেই মৃত্যু ছাত্রীর, গাফিলতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

মেয়েটির বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে স্কুল যাওয়ার পথে বমি হয় আরাধ্যার। বুধবার সকালেও সে তার ক্লাসটিচারকে অসুস্থতার কথা জানায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ফরিদাবাদ শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শরীর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বাড়ি যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। জোর করে আটকে রেখে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধ্য করা হয়। পড়ুয়ার মৃত্যুর পর এমনটাই অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। হরিয়ানার ফরিদাবাদের ঘটনা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত ওই পড়ুয়ার নাম আরাধ্যা খান্ডেলওয়াল। সে ফরিদাবাদের একটি সিবিএসসি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাস চলাকালীন স্কুলের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।

Advertisement

মেয়েটির বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে স্কুল যাওয়ার পথে বমি হয় আরাধ্যার। বুধবার সকালেও সে তার ক্লাসটিচারকে অসুস্থতার কথা জানায়। অভিযোগ, অসুস্থতার কথা শুনেও আরাধ্যাকে বাড়ি পাঠানো হয়নি। উল্টে তাকে আটকে রেখে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। এর পর দিন সকালেই মৃত্যু হয় তার।

আরাধ্যার এক সহপাঠীর মা জানিয়েছেন, আরাধ্যা বুধবার সকাল থেকেই অসুস্থ বোধ করছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে আরাধ্যার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল। আমার মেয়ে আমাকে বলেছে যে, আরাধ্যা ক্লাসটিচারকে বিষয়টি জানিয়েছিল। অস্বস্তি বোধ করা সত্ত্বেও আরাধ্যাকে জোর করে পরীক্ষায় বসানো হয়। ও নাকি পরীক্ষা দিতে বসে দরদর করে ঘামছিল।”প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আরাধ্যা ঠিক করে হাঁটতেও পারছিল না।

Advertisement

আরাধ্যার বন্ধুদের দাবি, বাড়ি ফেরার পথে আরাধ্যা বাসে আবার বমি করে এবং বাস নোংরা করার জন্য বাসচালক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

পুরো ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। তিনি মৃত পড়ুয়ার বাবা-মাকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন