মহম্মদ উসমান।
কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদের চার প্রশিক্ষিত স্নাইপার সক্রিয় বলে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তাদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে ছিল বাহিনী। আজ দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে বাহিনীর সঙ্গে নিহত দুই জঙ্গি সেই স্নাইপার দলের সদস্য হতে পারে বলে মনে করছে সেনা। জইশ ই মহম্মদ তাদের দুই সদস্য নিহত হওয়ার কথা মেনে নিয়ে জানিয়েছে, নিহতদের এক জন ওই গোষ্ঠীর নেতা মৌলানা মাসুদ আজ়হারের ভাইপো।
আজ ত্রালের চাঙ্কিতার গ্রামে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে অভিযান চালায় বাহিনী। জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের পরে দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করেছে তারা। জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি মার্কিন এম-ফোর কার্বাইন উদ্ধার হয়েছে বলে সেনা সূত্রের দাবি। ওই মার্কিন কার্বাইনেই টেলিস্কোপিক সাইট লাগিয়ে জঙ্গি স্নাইপার ৫০০-৬০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে বলে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি এই ধরনের হামলার শিকার হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন জওয়ান। ফলে আজ ত্রালে নিহত দুই জঙ্গি জইশের স্নাইপার দলের সদস্য হতে পারে বলে ধারণা বাহিনীর। জইশ ই মহম্মদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত দুই জঙ্গির মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজ়হারের ভাইপো মহম্মদ উসমান। দ্বিতীয় জঙ্গির নাম শওকত আহমেদ।
আজ সম্প্রতি নিহত পুলিশ অফিসার মীর ইমতিয়াজের ফেসবুক পেজে জঙ্গিদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তাঁরই এক ‘ঘনিষ্ঠ জন’। পোস্টে বলা হয়েছে ‘‘ইমতিয়াজ কেবল পুলিশ অফিসার ছিলেন না। তাঁর খুনিরা এক বৃদ্ধা বাবা-মার কাছ থেকে ছেলে, ভাইবোনের কাছ থেকে দাদা আর এক তরুণীর কাছ থেকে ভালবাসার মানুষ কেড়ে নিয়েছে। ওঁর খুনিদের উচিত আমাদেরও মেরে ফেলা।’’