জম্মু-কাশ্মীরের বালতালে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে শুক্রবার রাতে মৃত্যু হল তিন জনের। এঁদের মধ্যে দু’জনের বয়স ১২ এবং ১৩। জখম হয়েছেন ন’জন। এঁদের মধ্যে গুরুতর জখম এক জনকে শ্রীনগরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই সাত জনের।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন নয়াদিল্লির বাসিন্দা দীপক সিংহ, বছর তেরোর পূজা এবং বছর
বারোর বিক্রম। দু’জনেই রাজস্থানের বাসিন্দা। অমরনাথ বেসক্যাম্পের কাছে একটি দোকানে কাজ করত পূজা এবং বিক্রম।
অমরনাথ যাত্রার তদারকির ভার রয়েছে এমন এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে বহু তীর্থযাত্রী বালতালে আটকে পড়েছেন। বিঘ্নিত হয়েছে বালতালের যোগাযোগ ব্যবস্থা। জল ঢুকে গিয়েছে বালতাল বেস ক্যাম্পের ভিতরেও। জলমগ্ন তীর্থযাত্রীদের বেশ কয়েকটি তাঁবুও। তবে সব যাত্রীরা নিরাপদে রয়েছেন। ওই কর্তা জানিয়েছেন, বেসক্যাম্পের কাছাকাছি থাকা প্রায় শ’খানেক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০টি তাঁবু এবং বহু দোকানও। বেসক্যাম্পের প্রধান দরজার বাইরের পার্কিং এলাকা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে বারোটি দোকান।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার দল উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৭৮০ জন সাধারণ মানুষ এবং ১৫০০ জন তীর্থযাত্রীকে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেনার শীর্ষ কর্তারা। গান্ডেরবালের ডেপুটি কমিশনার শওকত আজাজ জানিয়েছেন, শ্রীনগর-লে জাতীয় সড়কে ধসের কারণে আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সোনমার্গ-ঘুমরি রাস্তাতেও।