বিয়ে ঠেকাতে কিশোরীর বাবাকে ফোন রঘুবরের

কিশোরীর বিয়ে ঠেকাতে তার বাবাকে সরাসরি ফোন করে অনুরোধ জানালেন রঘুবর দাস। একই সঙ্গে ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচের জোগানোর প্রতিশ্রুতিও দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোডারমা জেলার বাসিন্দা ডলি কুমারী। রাঁচির একটি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানে সে পড়াশোনা করে। গত কাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হয় ডলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০২:৫৯
Share:

কিশোরীর বিয়ে ঠেকাতে তার বাবাকে সরাসরি ফোন করে অনুরোধ জানালেন রঘুবর দাস। একই সঙ্গে ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচের জোগানোর প্রতিশ্রুতিও দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোডারমা জেলার বাসিন্দা ডলি কুমারী। রাঁচির একটি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানে সে পড়াশোনা করে। গত কাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হয় ডলি। রঘুবরের কাছে অভিযোগ করে, সে আরও পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু তাঁর বাবা কৈলাসকুমার পণ্ডিত তা চাইছেন না। তিন তার বিয়ে দিতে আগ্রহী। নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দাবি করে ডলি। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চায় সে।

মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন সূত্রে খবর, ডলির কাছ থেকে তার বাবার ফোন নম্বর চান মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি তাঁকে ফোন করেন তিনি। ডলির বাবাকে রঘুবর জানান, ডলি নাবালিকা। আইনত তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রী কৈলাসকে জানান, তাঁর মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। পরে, কৈলাসবাবু ফোনে জানান, তিনি গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানোর সামর্থ্য তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘‘আচমকা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে অবাক হয়েছিলাম।’’

Advertisement

কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর গুমলা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিল বিরসামুনি কুমারী নামে তেরো বছরের একটি মেয়ে। বিয়ে আটকাতে সে-ও মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চায়। সেই খবর পড়েই উৎসাহিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয় ডলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement