আমদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে শুধু নয়, নোট বাতিলের ঘোষণার পরপর অন্যান্য রাজ্যেও বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কে অতি দ্রুত ৫০০-১০০০ টাকার নোটে বিপুল অর্থ জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে এর আগে। সেখানেও জড়িয়েছে বিজেপির নেতানেত্রীদের নাম। সেই অভিযোগগুলি নিয়েও সরব এখন কংগ্রেস।
যেমন মহারাষ্ট্রে বিজেপি সাংসদ প্রীতম মুণ্ডের নেতৃত্বাধীন সমবায় ব্যাঙ্কেও বেআইনি পথে অচল নোট বদলের অভিযোগ এনেছে সিবিআই। প্রীতম মোদী সরকারের প্রয়াত মন্ত্রী গোপীনাথ মুণ্ডের কন্যা। অভিযুক্ত সমবায় ব্যাঙ্কটিও গোপীনাথের তৈরি। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ আজ বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের একটি গাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকা ধরা পড়েছে। ওই টাকা সাংসদ প্রীতম মুণ্ডে, বিজেপির রাজ্যের মন্ত্রী পঙ্কজা মুণ্ডে ও সুভাষ দেশমুখের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই যে বিজেপি নেতারা নোট বাতিলের কথা জানতেন, সেটা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট।’’
আগে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি নেতা মনীশ শর্মাকে একই অভিযোগে আটক করে পুলিশ। নোট বাতিলের আগে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার অ্যাকাউন্টেও পুরনো নোট জমা পড়ার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশেও বিজেপি নেতা সুশীল বাসওয়ানির বাড়িতে আয়কর দফতরের তল্লাশি হয়েছিল। তিনিও একটি সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তা। তামিলনাড়ুতে বিজেপির এক যুব নেতা হিসেব বহির্ভূত টাকা-সহ গ্রেফতারও হন।