চলছে উদ্ধারকাজ। ফাইল চিত্র।
মেঘালয়ের র্যাট হোল কয়লা খনিতে আটকে পড়া কর্মীদের এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। সেই ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে ফের ওই রাজ্যের পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার আরও একটি কয়লা খনিতে ধস নামায় মৃত্যু হল দুই কর্মীর। মৃতেরা হলেন, এলাদ বারে ও মনোজ বসুমাতারি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার।
জয়ন্তিয়া পাহাড়ের কোলে জালিয়া গ্রামের এই কয়লা খনিটি অবৈধ বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।দুর্ঘটনার সময় খনির ভিতরেই ছিলেন ওই দুই কর্মী। হঠাত্ই ধস নামায় বেরিয়ে আসার সুযোগ পাননি তাঁরা। ধস নামার খবর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেন ধসে আটকে পড়া এক খনিকর্মীর আত্মীয়। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল এলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই দুই খনিকর্মীকে। পুলিশ জানিয়েছে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রথমে এলাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। খনিমুখ এত সংকীর্ণ যে উদ্ধারকাজ চালাতে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয় উদ্ধারকারীদের। দ্বিতীয় দফায় ফের উদ্ধারকাজ শুরু হলে মনোজের দেহ খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা।
প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, কয়লা বার করার জন্য খনির দেওয়ালে আঘাত করতেই হুড়মুড় করে নেমে আসে বড় বড় চাঙড়। সেই চাঙড়ের নীচেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই দু’জনের।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে উদ্ধার প্রাচীন রণতরী, মিলল হ্যান্ড গ্রেনেড, কামান!
আরও পড়ুন: ভয় পেয়ে কুকুরকে ঢিল মারার ‘শাস্তি’, পথচারীকে গুলি করে মারল পোষ্যের মালিক!
গত ১৩ ডিসেম্বর পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার কিসান গ্রামেরএকটি র্যাট হোল খনিতে কাজ করার সময় আটকে পড়ছিলেন ১৫ জন কর্মী। সেই ঘটনার পর ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি আটকে পড়া খনিকর্মীদের। ৩৭০ ফুট গভীর খনির ভিতরে জল ভরে যাওয়ায় সমস্যাটা আরও বড় আকার ধারণ করে। পাম্প লাগিয়ে জল বার করে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যত সময় গড়িয়েছে ওই খনিকর্মীদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা ততই ক্ষীণ হয়েছে।