বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ ফেরাল কলেজিয়াম

এই মুহূর্তে গুজরাত হাইকোর্টের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বিচারপতি কুরেশি। তাঁকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ গত ১০ মে আইন মন্ত্রকে পাঠিয়েছিল কলেজিয়াম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৯
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম তাঁকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ পাঠিয়েছিল আইন মন্ত্রকে। কেন্দ্র আপত্তি তুলে সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠায়। তার জেরে নিজেদেরই সুপারিশে বদল আনল কলেজিয়াম। গুজরাত হাইকোর্টের সেই বিচারপতি আকিল কুরেশিকে মধ্যপ্রদেশের বদলে এ বার ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ পাঠিয়েছে তারা।

Advertisement

এই মুহূর্তে গুজরাত হাইকোর্টের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বিচারপতি কুরেশি। তাঁকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ গত ১০ মে আইন মন্ত্রকে পাঠিয়েছিল কলেজিয়াম। কেন্দ্র তা অনুমোদন তো করেইনি, উল্টে গত ৭ জুন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি রবিশঙ্কর ঝা-এর নাম ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। ২৮ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিচারপতি কুরেশির পদোন্নতি নিয়ে আইন মন্ত্রকের বার্তা তারা পেয়েছে। এর পর গত কাল রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় কলেজিয়ামের বিবৃতি। তাতে বলা হয়, ‘‘গত ২৩ অগস্ট ও ২৭ অগস্টের দু’টি বার্তা এবং সঙ্গে আসা তথ্য বিবেচনার পরে ১০ মে-র সুপারিশে বদল করা হয়েছে। বিচারপতি কুরেশিকে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে।’’

দেশের অন্যতম বড় হাইকোর্টটি রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। ত্রিপুরা হাইকোর্ট সে তুলনায় ছোট। বিচারপতি কুরেশির নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের ‘নিষ্ক্রিয়তা’-র প্রতিবাদে গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে গুজরাত হাইকোর্টের আইনজীবীদের সংগঠন। তাদের অভিযোগ, ১০ মে কলেজিয়ামের সুপারিশ করা আরও ১৮ জন বিচারপতির নিয়োগে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু বিচারপতি কুরেশি সংক্রান্ত একই তারিখের সুপারিশটি তারা ঝুলিয়ে রেখেছে। এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

Advertisement

বিরোধী রাজনীতিকদের মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে বারবার দেখা যাচ্ছে, কলেজিয়ামের সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও মতবিরোধের ঘটনায় শেষ কথা বলছে কেন্দ্রই। কারণ, কেন্দ্র কোনও বিচারপতির নাম ফেরত পাঠানোর পরে কলেজিয়াম যদি তা অপরিবর্তিত অবস্থায় ফেরত পাঠায়, তা হলে কেন্দ্র সেই সুপারিশ মানতে বাধ্য। বড় জোর বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখতে পারে সরকার। কিন্তু বিচারপতি কুরেশির ক্ষেত্রে কলেজিয়াম নিজেদের সুপারিশ বদলানোয় বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, বিচার বিভাগের উপরে প্রভাব খাটাচ্ছে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন