নরেন্দ্র মোদী

ডিসলেক্সিয়া নিয়ে প্রশ্নে এ কী বললেন মোদী!

প্রতিবন্ধী না বলে বরং বলতে হবে ‘দিব্যাঙ্গ’। দিতে হবে বিশেষ সম্মান, এমনটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের নাগরিকের প্রশংসাও পেয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ১৬:০৩
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।

প্রতিবন্ধী নয়, বলতে হবে ‘দিব্যাঙ্গ’। দিতে হবে বিশেষ সম্মান, এমনটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীর প্রশংসাও পেয়েছিলেন। কিন্তু এ বার মানসিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি মন্তব্যের কারণে বিতর্কের মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

ডিসলেক্সিয়ার সমস্যায় আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের নিয়ে অস‌ংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, অভিযোগ বিরোধীদেরও। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং তাঁর মা সনিয়া গাঁধীকে উদ্দেশ্য করেই এ রকম মন্তব্য করেছেন মোদী, এমনটা অভিযোগ করেছেন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

রবিবার সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ও লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির উল্লেখ করে এটিকেই ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিমান থেকে ইজেক্ট করেছিলেন অভিনন্দন, এতে কতটা প্রাণের ঝুঁকি জানলে চমকে উঠবেন​

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ‘লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে।

নারী ও শিশুদের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য প্রযুক্তিচালিত সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মোদী। সেখানে এক পড়ুয়ার প্রশ্নের উত্তরে মোদী একটি মন্তব্য করে। এর পরই শুরু বিতর্ক।

শনিবার রাতে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন’-এর ভিডিয়ো সম্মেলনের সময় দেহরাদূনের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি কর্মসূচির বিষয়ে ব্যাখ্যা করছিলেন। ওই কর্মসূচিতে পড়ার এবং লেখার সমস্যার সম্মুখীন হওয়া ডিসলেক্সিক শিশুদের সাহায্য করার পরিকল্পনা ছিল।

আরও পড়ুন: মূত্র সঞ্চয় করুন, দেশে ইউরিয়া আমদানি করতে হবে না! ফর্মুলা দিলেন গডকড়ী​

ওই পড়ুয়া বলেন, ‘‘ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করার জন্য আমাদের একটি চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের বাচ্চাদের শিক্ষা এবং লেখার গতি তুলনামূলক কম।’’ এর পর ‘তারে জমিন পর’ ছবির উল্লেখও করেন ওই পড়ুয়া।

ওই পড়ুয়াকে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘এটি কি ৪০-৫০ বছরের বাচ্চার জন্যও কাজ করবে নাকি?’’ প্রশ্ন শুনেই হেসে গড়িয়ে পড়েন উপস্থিত পড়ুয়াদের একাংশ। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও হাসতে দেখা যায়। ওই পড়ুয়া মাইক্রোফোনে জবাব দেন, ‘‘স্যর, এটা কাজ করবে।’’ এর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ধরনের শিশুদের মায়েরা দেখছি খুবই খুশি হবেন।’’ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে এর পরই সমালোচনা শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement