খাবারের মাধ্যমে সাহায্যের হাত। প্রতীকী ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
পুলওয়ামায় জঙ্গিদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জেরে নিহত হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তারপর থেকেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। সেই সময় বিভিন্ন কারণে উত্তেজিত জনতার হাতে হেনস্থা হতে হয় কাশ্মীরিদের। এমন কী কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ‘অ্যান্টি ন্যাশনাল’ বলে তোপ দাগা হচ্ছিল বিভিন্ন মহল থেকে।
কাশ্মীরে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ মানেই কি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত? সেনা বা পর্যটকদের সমস্যায় তাঁরা কি এগিয়ে আসেন না? সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে দিল কাশ্মীরের মানুষদের সহৃদয়তা।
পুলওয়ামা ঘটনার কয়েকদিন পর ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ‘ব্লেসিং কাশ্মীর’ নামের একটি চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয় সেটি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাইওয়ের পাশে দাঁড়িয়ে পর্যটকদের গাড়ি ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে খাবার বিলি করছেন কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ।
জানা গিয়েছে, তুষারপাত ও ধসের জেরে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছিল। সেই সময়ই সেনা ও পর্যটকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সাধারণ কাশ্মীরিরা। এই কারণেই দেশ জুড়ে যখন কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যখন অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও বলতে হয়েছিল, ‘‘আমাদের লড়াই কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে নয়।’’
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, বন্ধ ৩ রাজ্যের ৮ বিমানবন্দর