বিকৃত যৌনতায় বাধ্য করেছিল স্বামী। এমনকী এক বন্ধুর সঙ্গেও। ২১ বছরের তরুণীটি রাজি না হওয়া পর্যন্ত চলেছিল অকথ্য অত্যাচার। শাশুড়িকে মেয়েটি বলেছিলেন স্বামীর সেই অত্যাচারের কথা। শুনে শাশুড়ি তাকে বলেন, স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কথামতো চলাটা নাকি তাঁর কর্তব্য!
হায়দরাবাদের ওই তরুণীর অভিযোগ পেয়ে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলেছে চাঁদ মহম্মদ নামে স্বামীর ওই বন্ধুটির। গত বছরের এপ্রিলে ২৬ বছরের লোকটির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। বিয়ের পরেই স্ত্রীকে দেশে রেখে স্বামী চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়— পড়াশোনা করতে। কিন্তু আসলে সেখানে কী করত সে?
স্ত্রীর সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় বসে জোর করে স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও
ভিডিও চেয়ে পাঠাত সে। তার পরে সেই সব ছবি অনলাইনে দেখাত নিজের বন্ধুদের। ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফেরে ওই তরুণ। বিকৃতি চরমে ওঠে তখনই। তরুণীটির কথায়, ‘‘এমন ব্যবহার করত যেন আমি একটা টিস্যু পেপার। বলত, অস্ট্রেলিয়া ও অন্য অনেক দেশে এক জন মহিলা নাকি অনেকের সঙ্গে যৌনাচার করেন।’’
সব চেয়ে বড় ধাক্কাটা আসে যখন সব শুনে শাশুড়িও তাঁকে বলেন স্বামীর কথা মেনে নিতে। ওই তরুণীর দাবি, বিয়েতে দু’লক্ষ টাকা পণ দিয়েছিলেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। বিয়েতে খরচ হয়েছিল ৩ লক্ষ। তার পরে পাত্রের অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।