সিয়াঙে ঘোলা জলের দায় অস্বীকার চিনের

সিয়াং নদীটির উৎপত্তি চিনে। সেখান থেকে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ভারতে ঢুকেছে নদীটি। তার পর দিবাং ও লোহিতের সঙ্গে মিশেছে। এই তিনটি ধারা একত্র হয়ে সৃষ্টি করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইটানগর শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

এই ঘোলা জল নিয়েই বিতর্ক। অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটের কাছে। —নিজস্ব চিত্র।

ব্রহ্মপুত্র নদের প্রধান অববাহিকা সিয়াং নদীটি অরুণাচল প্রদেশের জীবনধারা। তার জল শীত কালে থাকে আয়নার মতো স্বচ্ছ। কিন্তু, রূপ বদলে তা এখন কাদা গোলা, ঘোলাটে। জলের মান নষ্টের জন্য ভারত আঙুল তুলেছে চিনের দিকে। কিন্তু চিন তাদের দায় সরাসরি অস্বীকার করেছে। ফলে, ইন্দো-চিন চাপানউতোরের জল এ বার ব্রহ্মপুত্র থেকে গড়িয়ে গিয়ে পড়ছে সিয়াং নদীতে।

Advertisement

সিয়াং নদীটির উৎপত্তি চিনে। সেখান থেকে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ভারতে ঢুকেছে নদীটি। তার পর দিবাং ও লোহিতের সঙ্গে মিশেছে। এই তিনটি ধারা একত্র হয়ে সৃষ্টি করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ।

ইন্দো-চিন সীমান্তের অধিবাসীরা, বিশেষত যাঁরা পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাটে থাকেন, তাঁরা সিয়াং নদীর বদল নিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ নিনং এরিংয়ের কাছে অভিযোগ করেন। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের দাবি, নদীতে জল কমে কাদায় ভরে গিয়েছে। তাতে ভেসে উঠছে মরা মাছ।

Advertisement

বিষয়টি খতিয়ে দেখে, সাংসদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে চিনের দিকে। তিনি লক্ষ করেন, যে সময় থেকে নদীটিতে কাদা হচ্ছে, সে সময়ই খবর উঠেছিল, চিন পৃথিবীর দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সাংপো নদীর গতিপথ তিব্বত থেকে ঘুরিয়ে তাকলামাকান মরুভূমির দিকে নিয়ে যাওয়ার ছক কষছে। স্থানীয়রা সাংসদকে বলেন, বর্ষা যাওয়ার পরও কাদা থেকেই যাচ্ছে নদীতে। মানে, নদীটির উজানে, চিনের কোথাও বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। তারই কাদা মাটি ভারতে বয়ে আনছে সিয়াং। এমন চলতে থাকলে, পরিবেশ দূষণ তো হবেই, টান পড়বে ব্রহ্মপুত্রের জলভাণ্ডারেও। বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন এরিং।

পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন নদীটির জল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জাতীয় জল কমিশন পরীক্ষার জন্য নদীটির জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় মিলেছে অস্বাস্থ্যকর খনিজ।

ভারতের নদী কালো করার দায় কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলার সঙ্গেই, ডোকলাম প্রসঙ্গেও কালো মেঘ দেখাচ্ছে চিন। বৃহস্পতিবার চিনা সামরিক বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে, শীতেও ডোকলামে যথেষ্ট সেনা মোতায়েন থাকবে। বার্তায় সুস্পষ্ট, এত বিতর্কের পরও এলাকাটিকে চিনেরই বলে মনে করেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন