এ দেশে কন্ডোমের বিজ্ঞাপন কি শালীনতার মাত্রা ছাড়াচ্ছে? সম্প্রতি এমনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
কন্ডোমের বিজ্ঞাপন মানেই সেটি ‘উত্তেজক’। দেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। অতএব বন্ধ করা হোক এমন বিজ্ঞাপন। নচেৎ সেটি প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক। এমনই আওয়াজ উঠেছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে।
এখন প্রশ্ন এমন অভিযোগ এল কোথা থেকে? পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে কন্ডোমের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক সূত্রপাত বহুদিন আগে থেকেই।
আরও পড়ুন:
‘লভ জিহাদ’ বিদ্বেষ! মালদহের যুবককে কুপিয়ে, পুড়িয়ে খুন রাজস্থানে
বিল পাশের পরেই মধ্যপ্রদেশে নাবালিকা ধর্ষণ!
রামগড়ের এক বিজেপি বিধায়ক জেএনইউ-তে ব্যবহৃত কন্ডোমের সংখ্যা গণনা করিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, স্পষ্টতই এটা বোঝানো হয়েছিল, ‘‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় জেএনইউ-তে ছেলেমেয়েরা নগ্ন হয়ে নৃত্য করে।’’ বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এডস্ নিয়ে প্রচারের সময় বলেছিলেন, ‘‘কন্ডোম নয়, এডস্ প্রতিরোধ করা যাবে ভারতীয় মূল্যবোধ দিয়েই।’’ দেশের নানা জায়গায় কন্ডোমের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য আওয়াজ তোলে হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যেরা। স্লোগান ওঠে, কন্ডোমের বিজ্ঞাপন ‘লজ্জাজনক’, এতএব কুপ্রভাব ফেলবে সমাজে। অভিযোগের পাশাপাশি দেশের শাসক দল ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বলে পাল্টা অভিযোগও ওঠে দেশের নানা মহলে।
ফের একবার সেই বিতর্কই সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কন্ডোমের বিজ্ঞাপন শালীন না অশালীন?
সম্প্রতি অ্যাডভার্টাইসিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই)-র তরফে জানানো হয়েছে কন্ডোমের বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্য অভিযোগ এসেছে নানা মহল থেকে। ‘প্রাইম টাইম’-এ ওই বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না, এমনই অভিযোগ এনে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে বিজ্ঞাপন দেখানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছে এএসসিআই। তাদের তরফে বলা হয়েছে, প্রাইম টাইম ছাড়া শুধুমাত্র রাতের বেলাতেই ওই বিজ্ঞাপন দেখানো হেক। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬টাই হবে বিজ্ঞাপনী প্রচারের আদর্শ সময়। এই মর্মে অবিলম্বে নয়া নির্দেশিকা জারি করুক সরকার।
অতএব, ‘নীতি পুলিশ’-এর ভূমিকা নিয়ে ফের শুরু হতে চলেছে নয়া বিতর্ক।