ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তুতি-প্রচার তুঙ্গে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সহকারী সম্পাদক (সাধারণ) পদে ২ জন, সহকারী সম্পাদক (মহিলা সংরক্ষিত) আসনে ৩ জন দাঁড়িয়েছেন। উপসভাপতি, সংস্কৃতি সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও ম্যাগাজিন সম্পাদক— সমস্ত পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোট হবে সব আসনে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দীপেন্দু দাস জানিয়েছেন, গত বছর থেকে লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে ভোট হচ্ছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগে শিক্ষকদের মধ্যে থেকে এক জনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতো। এখন ওই পদটিও ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছাড়া হয়েছে।
লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে গত কাল নির্বাচনী বিতর্কের আয়োজন করা হয়। এ ধরনের আয়োজন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বারই প্রথম হল। সমস্ত প্রার্থী মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। তাঁদের কথা শোনার জন্য বিপিনচন্দ্র পাল মিলনায়তন পুরো ভর্তি ছিল। উপস্থিত ছাত্র-গবেষকদের মধ্য থেকে প্রার্থীদের নানা প্রশ্ন করা হয়। তবে কোনও প্রার্থীর সংগঠনের নামোল্লেখের সুযোগ ছিল না। সবাইকে নির্দল হিসেবেই প্রতিদ্বন্দিতা করতে হয়।
তবু ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বিভিন্ন ভাবে প্যানেল তৈরির কাজ চলছে। এবিভিপি-র উত্তর-পূর্ব প্রান্ত সম্পাদক মনোজকুমার দাস ৭ জন প্রার্থীর নামোল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছেন— তাঁরা জিতলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এনএসইউআই কোনও প্যানেল ঘোষণা করছে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজা লস্কর। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরাই জিতবেন, সবার প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা থাকবে। সবাইকে পরে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।’’
কংগ্রেসি ছাত্র সংগঠনের একাংশ নেতা কয়েক জন প্রার্থীকে জেতাতে শুরু থেকে কাজ করে চলেছেন। এআইডিএসও নেতৃবন্দ অবশ্য সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার ভোটে তাঁদের কোনও প্রার্থী নেই। প্রার্থী দেয়নি কোনও বামপন্থী সংগঠন।
রিটার্নিং অফিসার দীপেন্দু দাস বলেন, ‘‘বাইরে কোথায় কী হচ্ছে, সে-সব আমাদের দেখার কথা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আমরা সমস্ত ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি।’’