স্মৃতি ইরানি। —ফাইল চিত্র।
ইটের বদলে পাটকেল!
বুধবারই স্মৃতি ইরানি বিজেপি দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে গাঁধী পরিবারের বেআইনি সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে সাংসদ তহবিলের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। তাদের দাবি, স্মৃতিকে বরখাস্ত করা হোক অবিলম্বে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এফআইআর দায়ের করা হোক।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা ও গুজরাতের কংগ্রেস নেতা শক্তিসিন গোহিলের অভিযোগ, গুজরাতের রাজ্যসভা সাংসদ স্মৃতি কোনও দরপত্র ছাড়াই তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৬ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দ করেছেন। সরকারি সংস্থার বদলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের পরিচালিত একটি অসরকারি সংস্থাকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাটিকে প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সিএজি রিপোর্টেই তার উল্লেখ রয়েছে। যে আনন্দ জেলায় ওই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, তার জেলাশাসকই রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছেন। রাত পর্যন্ত স্মৃতি নিজে বা বিজেপির তরফে জবাব মেলেনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সরকারি অর্থ নয়ছয়ের স্পষ্ট নমুনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নৈতিকতা থাকলে তাঁর ঘনিষ্ঠতম নেত্রীকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত।’’ গোহিল বলেন, নিয়ম ভেঙে একটি সংস্থাকে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিএজি রিপোর্টে তা স্পষ্ট লেখা রয়েছে। সিএজি সুপারিশ করেছে, গুজরাতে বিজেপি সরকার বিষয়টির তদন্ত করুক। গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়ক অমিত চাভড়া ইতিমধ্যেই গুজরাত হাইকোর্টে স্মৃতির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন।