বিরোধীদের চাপে প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর ‘ইমপিচমেন্ট’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিরোধী শিবির। কিন্তু এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে আজ প্রধান বিচারপতির উপর চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করলেন কংগ্রেস ও বিরোধী দলের নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর ‘ইমপিচমেন্ট’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিরোধী শিবির। কিন্তু এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে আজ প্রধান বিচারপতির উপর চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করলেন কংগ্রেস ও বিরোধী দলের নেতারা।

Advertisement

প্রধান বিচারপতির উপর আরও চাপ বাড়িয়ে আজ তাঁর ক্ষমতাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী শান্তি ভূষণ। সুপ্রিম কোর্টে কোন বিচারপতির বেঞ্চে কোন মামলার শুনানি হবে, তা প্রধান বিচারপতিই ঠিক করেন। যে কারণে তাঁকে ‘মাস্টার অব দ্য রোস্টার’ বলা হয়। ওই ক্ষমতা প্রশ্নাতীত কি না, সেই প্রশ্ন তুলেই এই মামলা।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই এখন রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিবাদের মামলা চলছে। বিরোধীদের আশঙ্কা, শাসক পক্ষ প্রধান বিচারপতির উপর প্রভাব খাটিয়ে লোকসভা ভোটের আগে কোনও সুবিধাজনক নির্দেশ আদায়ের চেষ্টা করবে। তাই চাপে ঢিল দিতে নারাজ কংগ্রেস ও বাম নেতারা জানিয়েছেন, ‘ইমপিচমেন্ট’ নিয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বাস্তবে কংগ্রেস ‘ইমপিচমেন্ট’ নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত। রাহুল গাঁধী এখনও সবুজ সঙ্কেত দেননি। অথচ কিছু রাজ্যসভার সাংসদ আগেভাগেই ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাবে সই করে দিয়েছেন। তৃণমূল, ডিএমকে এবং বিজেডি এখনও ওই প্রস্তাবে সম্মত দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে রাহুল গাঁধীর কথাও হয়েছে। কংগ্রেসের লোকসভা ও রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও গুলাম নবি আজাদ আজ যুক্তি দেন, এখনও আলোচনা চলছে। বাম নেতাদের যুক্তি, রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনতে ৫০ জন সাংসদের সই প্রয়োজন। সংখ্যাটা সমস্যা নয়। কিন্তু যত বেশি সম্ভব সই থাকলে বেশি ভাল। এ বিষয়ে বিরোধী ঐকমত্য ভাঙতেও চাইছেন না কেউই।

Advertisement

কংগ্রেস ও বাম নেতাদের যুক্তি, এক বার প্রস্তাব গৃহীত হলে এমনিতেই নৈতিক কারণে প্রধান বিচারপতিকে অন্য সব মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে। না হওয়া পর্যন্তও তিনি চাপে থাকবেন। অক্টোবরে প্রধান বিচারপতি অবসর নেবেন। তার আগে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ হওয়াও সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে চার প্রবীণ বিচারপতি আগেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, সরকারের চাপের মুখে তিনি স্পর্শকাতর মামলা বাছাই করা কিছু বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতির যুক্তি ছিল, ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর কাছেই রয়েছে। শান্তি ভূষণ তাঁর মামলায় যুক্তি দিয়েছেন, এই ক্ষমতা ব্যক্তিগত ইচ্ছে দ্বারা চালিত হতে পারে না। প্রধান বিচারপতির একার হাতেও ওই ক্ষমতা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন