রাফাল রহস্যের সব কিছুই জানেন পর্রীকর। অভিযোগ কংগ্রেসের। —ফাইল চিত্র।
অরুণ জেটলি অসুস্থ হলে তাঁর বদলে দু’মাসের জন্য অর্থমন্ত্রী হন পীযূষ গয়াল। অথচ ন’মাস ধরে অসুস্থ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের বদলে অন্য কাউকে কেন আনছেন না নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ?
প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। উত্তরও তারাই দিল।
গোয়ার কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চোডাঙ্করকে আজ দিল্লিতে এনে সাংবাদিক বৈঠক করাল এআইসিসি। গিরীশের দাবি, ‘‘উত্তরটা লুকিয়ে আছে রাফালে।’’ কীভাবে? গিরীশের অভিযোগ, ‘‘রাফাল চুক্তি যখন হয়েছিল, সেই সময় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন মনোহর পর্রীকর। রাফাল রহস্যের সব কিছুই জানেন তিনি। ফাইল কোথায় কীভাবে গিয়েছে, সব নখদর্পণে। তাই নরেন্দ্র মোদী ভয় পাচ্ছেন, অসুস্থতা সত্ত্বেও তাঁকে সরালে পর্রীকর প্রধানমন্ত্রীর মুখোশ না খুলে দেন।’’
যদিও এই অভিযোগ তোলার পিছনে কংগ্রেসের দ্বিমুখী কৌশলও রয়েছে। এক দিকে রাফাল নিয়ে বিতর্কে নতুন মোড় দেওয়া, আর বিজেপির ‘দুর্বলতা’র সুযোগ নিয়ে গোয়াতে সরকার গড়ার চেষ্টা করা।
অসুস্থতার জন্য পর্রীকরকে বিদেশ যেতে হয়। এখন তিনি দিল্লির এইমসে ভর্তি। সেখানেই কাল রাজ্যের মন্ত্রীদের ডেকে বৈঠক করেছেন। যদিও দল জানিয়েছে, দীপাবলির আগেই গোয়া যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কংগ্রেসের বক্তব্য, ন’মাস ধরে রাজ্যের মাথা নেই। কাউকে দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। সব সিদ্ধান্ত আটকে। কংগ্রেসের বেশি আসন থাকা সত্ত্বেও বিজেপি পর্রীকরকে প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে গোয়ায় নিয়ে গিয়ে জোড়াতালির সরকার গঠন করেছিল। কংগ্রেসের নেতা পবন খেরা বলেন, ‘‘এখন বিজেপিতে বলাবলি হচ্ছে যে, রাজ্যে অরাজকতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বিধানসভায় ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ হোক।’’