সম্মুখসমরে কংগ্রেস এবং বিজেপির সমর্থকেরা। শুক্রবার বিহারের পটনায়। ছবি: পিটিআই।
বিহারে কংগ্রেসের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত যুবক। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর থেমে নেই। শুক্রবার পটনায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস এবং বিজেপির সমর্থকেরা। তার রেশ এসে পৌঁছোয় কলকাতাতেও। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির পতাকা নিয়ে কয়েক জন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে হামলা চালিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। ওই দিন ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় বিহারের দ্বারভাঙা থেকে মুজফ্ফরপুর যাচ্ছিলেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, তেজস্বী যাদবেরা। দ্বারভাঙা শহরে কংগ্রেসের একটি মঞ্চ থেকে বছর কুড়ির এক যুবক প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর মাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। পরে দ্বারভাঙা থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে বিজেপি। শুক্রবার এই ঘটনায় রাহুলের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “যদি লজ্জাবোধ বলে অবশিষ্ট কিছু থেকে থাকে তা হলে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
বুধবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে পটনার কংগ্রেস দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস দফতরের ভিতর থেকে পাথর ছোড়া হয়। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরাই পাথর ছুড়েছেন এবং গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। তার পরেই দু’পক্ষই দলীয় পতাকার লাঠি দিয়ে পরস্পরকে মারতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। উভয় পক্ষেরই দাবি, তারা একে অপরকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভাঙচুর হয় কলকাতার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরেও। অভিযোগ, সেই সময় দফতর বন্ধ ছিল। বিজেপির কয়েক জন দফতরের বাইরে রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতাদের ছবি সম্বলিত কাটআউট ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য জানতে চেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। এই আবহে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন রাহুল লিখেছেন, “যত খুশি মারো এবং ভাঙো। আমরা সত্য এবং সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াই চালিয়ে যাব। সত্য এবং অহিংসার সামনে মিথ্যা এবং হিংসা টিকে থাকতে পারে না।”