নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই সনিয়া গাঁধীর জনসভায় অপ্রত্যাশিত সাড়া মিলেছিল। সেই উৎসাহ ধরে রাখতে আর দেরি না করেই ফের উত্তরপ্রদেশের মাঠে নেমে পড়ছে কংগ্রেস। ২০ অগস্ট রাজীব গাঁধীর জন্মবার্ষিকী। তার পরের দিন, রবিবার থেকেই থেকে দেড় মাস ধরে কংগ্রেস নেতারা গোটা উত্তরপ্রদেশ সফর শুরু করবেন। সফরসূচিতে থাকছে নেহরু-গাঁধী পরিবারের দুর্গ অমেঠী-রায়বরেলী সহ ৬৬টি জেলা।
কংগ্রেস নেতারা বরাবরই দেরিতে প্রচার শুরু করা, প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে অভ্যস্ত। কিন্তু এ বার তাঁরাই সবার আগে মাঠে নামার বাড়তি সুবিধা নিতে চাইছেন। দু’টি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা প্রচার করবেন। একটির নেতৃত্ব দেবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর, অন্যটির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শীলা দীক্ষিত। এআইসিসি-র উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘তিন দশক ধরে আমরা উত্তরপ্রদেশে কোণঠাসা। তাই আমাদের লক্ষ্য হল, রাজ্যের সব জেলার কোণায় কোণায় কংগ্রেসের অস্তিত্ব জানান দেওয়া।’’
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতাদের একটি যাত্রা অমেঠীতে পৌঁছবে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেখানে রাহুল গাঁধী জনসভা করবেন। এই সফর চলাকালীন কংগ্রেসের অন্যান্য রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও প্রচারে যাবেন। উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারের প্রথম দফায় কংগ্রেস নেতারা বাসে চেপে দিল্লি থেকে কানপুর যাত্রা করেছিলেন। তখনই প্রচারের সুর বেঁধে ফেলা হয়েছিল, ‘সাত্তাইশ সাল, ইউপি বেহাল’। এর পর লখনউয়ে গিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গাঁধী। পরে মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই রোড-শো করতে যান সনিয়া গাঁধী। কিন্তু সেখানেই তিনি চোট পান। সংসদের অধিবেশনের জন্য গুলাম নবি, রাজ বব্বর, প্রমোদ তিওয়ারির মতো নেতারাও ব্যস্ত ছিলেন। এ বার অধিবেশনের শেষে এখন তাঁদের নজর লখনউয়ের দিকে।