প্রতীকী ছবি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) ছাত্র সংসদের ভোটে ইভিএম নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই কংগ্রেস দাবি তুলল, লোকসভা, বিধানসভাগুলির ভোটও ব্যালটে করতে হবে। এই বিতর্কের মধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটে ব্যবহৃত ইভিএমগুলি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত নয়। জানা গিয়েছে, সেগুলি কেনা হয়েছিল ইসিআইএল-এর থেকে। কমিশনকেও ইভিএম সরবরাহ করে থাকে ইসিআইএল এবং ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। ফলে ডিইউ-এ ইভিএম-নিয়ে কারচুপির অভিযোগে ফের বিতর্কে কমিশনের ভোট ব্যবস্থা।
দেশের ৫ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট এবং পরের বছর লোকসভা ভোটে ব্যালটে ফেরার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন করে ভোট করার দাবি তুলেছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত ইভিএম-এ তাদের কোনও যোগ নেই বলে কমিশন ঘোষণা করতেই সরব হয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। টুইটারে লিখেছেন, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া ইভিএম ব্যবহার করা ফৌজদারি অপরাধ। বেসরকারি ভাবে ইভিএম কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তবে জয় নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছেন, এবিভিপি-র সাফল্য আসলে সুবিধাবাদী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি যুবশক্তির আস্থার নমুনা।
শুক্রবার ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-তেও। সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক এবং বিভিন্ন ছাত্র-প্রতিনিধি পদের জন্য দু’দফায় ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে। মোট ৭৬৪৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫১৮৫ জন। গত বছর চারটি প্রধান পদই দখল করেছিল বাম জোট। কাল গণনা শুরুর পরে ফল ঘোষণা হতে পারে রবিবার সকালে। ভোটের আগে ক্যাম্পাসে কিছু পোস্টার পড়া নিয়ে বিতর্ক হয়। ‘দেশবিরোধীদের’ দূরে রাখা ছাত্রীদের ছোট পোশাক ও রেস্তোরাঁয় আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করার দাবিতে ওই পোস্টার দেওয়ার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে এবিভিপি-র দিকে। যদিও এবিভিপি অভিযোগ অস্বীকার করে তা ‘বাম জোটের চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছে।