Congress

নেতাজির ‘মৃত্যুদিন’ বলে আবার বিতর্কে কংগ্রেস

কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নেতাজি যে দল গড়েছিলেন, সেই ফরওয়ার্ড ব্লক সরাসরি কংগ্রেসের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২০ ০৫:২০
Share:

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুদিন’ ঘিরে ফের বিতর্ক! ফাইল চিত্র।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুদিন’ ঘিরে ফের বিতর্ক! এ বারও ‘মৃত্যুবার্ষিকী’তে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে সর্বভারতীয় কংগ্রেস। বছরকয়েক আগে ঠিক একই বিতর্ক হয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর শ্রদ্ধাঞ্জলিকে কেন্দ্র করে।

Advertisement

কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নেতাজি যে দল গড়েছিলেন, সেই ফরওয়ার্ড ব্লক সরাসরি কংগ্রেসের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করেছে। প্রত্যক্ষ ভাবে কংগ্রেসকে কিছু না বলেও তৃণমূল এবং সিপিএম স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, নেতাজির মৃত্যু-রহস্যের সমাধান এখনও হয়নি। যা জানার জন্য দেশবাসী এখনও প্রতীক্ষায়। বাংলায় বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’ বুঝে কংগ্রেসের দলীয় বক্তব্যের থেকে ভিন্ন সুরে গিয়েই লোকসভায় দলের নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘ট্র্যাজিক হিরো নেতাজিই একমাত্র জাতীয় নায়ক এবং সম্ভবত একমাত্র বিশ্বব্যক্তিত্ব, যাঁর জন্মদিনই শুধু পালিত হয়, মৃত্যুদিন নিয়ে কিছু জানা নেই কারও।’’

কংগ্রেসের তরফে মঙ্গলবার টুইট-বার্তায় বলা হয়, ‘‘জাতীয় নায়ক সুভাষচন্দ্র যে ভাবে জাতির প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, তা বরাবরই লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর কাছে অনুপ্রেরণা। স্বাধীন, ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ার জন্য যিনি নিরন্তর লড়াই করে গিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে সশ্রদ্ধ প্রণাম।’’ এর পরেই প্রতিবাদে সরব হয় নেতাজি-প্রেমী এবং তাঁকে নিয়ে কাজ করা নানা সংগঠন ও ব্যক্তি। ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে এই পর্যন্ত গঠিত তিনটি কমিশনই তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোনও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। তা হলে কীসের ভিত্তিতে বারেবারে এই মিথ্যাচার?’’ কংগ্রেসের অধীরবাবু অবশ্য সামাল দিয়েছেন এই বলে যে, নেতাজির মৃত্যুর বিষয়ে প্রামাণ্য কোনও তথ্য নেই।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন টুইটে বলেছেন, ‘‘১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট, এই দিনে নেতাজি তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে উড়েছিলেন এবং তার পরে চিরতরে নিখোঁজ হয়ে যান। আমরা এখনও জানি না, তাঁর কী হয়েছিল। দেশের এমন বরেণ্য সন্তানকে নিয়ে মানুষের জানার অধিকার আছে।’’ একই বক্তব্য সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন