Congress

Congress: ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ কার্যকরে হিমশিম কংগ্রেসে এ বার ‘এক পরিবার, এক প্রার্থী’র প্রস্তাব

রাহুল গাঁধী-সহ কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা ট্রেনে উদয়পুরে যেতে পারেন। তার জন্য বিশেষ কামরা ভাড়া করার চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ০৬:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি কার্যকর করতে গিয়েই হিমশিম দশা। এ বার কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে ‘এক পরিবার, এক প্রার্থী’ নীতি কার্যকর করার প্রস্তাব এল! যার অর্থ, একটি পরিবার থেকে মাত্র এক জনকেই নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু এই নীতি গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

শুক্রবার থেকে উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে আলোচনার জন্য সাংগঠনিক বিষয়ে যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তাতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’-এর পাশাপাশি ‘এক পরিবার, এক প্রার্থী’ নীতির কথা বলা হয়েছে। সোমবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনার পরে তা উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে পেশ করা হবে।

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ না দিলেও, সংগঠন চাঙ্গা করার দাওয়াইয়ের প্রস্তাবে তাঁর পরামর্শের ছায়াও দেখতে পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। উদাহরণ, নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখভালের জন্য এআইসিসি-তে এক জন নতুন সাধারণ সম্পাদকের পদ তৈরি করার প্রস্তাব। তাঁর অধীনে একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। প্রশান্ত কিশোর ঠিক এই রকম পদ তৈরি করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে এর দায়িত্ব দিতে বলেছিলেন। সংগঠনে তরুণ রক্ত আনতে ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কম বয়সিদের নিয়োগের প্রস্তাবও রয়েছে। বিজেপির মতোই জাতীয় স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আবার কংগ্রেসে সংসদীয় বোর্ড ফিরিয়ে আনা, জাতীয় স্তরে একটি রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে খসড়ায়। কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, এক পরিবার, এক টিকিট নীতি গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। হলেও সমস্যা হবে না। কারণ সনিয়া গান্ধী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী না-ও হতে পারেন। রাহুল, প্রিয়ঙ্কা, দু’জনেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন, এমন সম্ভাবনা কম।

Advertisement

খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখন থেকেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে আগামী বছরই কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলা হোক। কংগ্রেসের কোথায় শক্তি রয়েছে, কোথায় নেই, সেই হিসাবে রাজ্যগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করা হোক। কংগ্রেস যেখানে দুর্বল, সেখানে তৃণমূল স্তরে ৫০ থেকে ১০০ জন সাংগঠনিক সচিব নিয়োগ করা হোক। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের জি-২৩ গোষ্ঠীর দাবি মতোই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি গঠন হোক। সভাপতির দ্বারা মনোনীত করে নয়। দলের তহবিল জোগাড়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সমাজের সব অংশের মানুষের সঙ্গে নিরন্তর জনসংযোগে বিশেষ কমিটি গঠন করা হোক। দলের মিডিয়া দফতরকে ঢেলে সাজানো হোক।

রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা ট্রেনে উদয়পুরে যেতে পারেন। তার জন্য বিশেষ কামরা ভাড়া করার চেষ্টা হচ্ছে। রাহুল আজ গুজরাতের দাহোদে আদিবাসী এলাকায় জনসভা করেছেন। গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি, বর্তমানে বিক্ষুব্ধ হার্দিক পটেল সেখানে হাজির ছিলেন। টুইটারে নিজের পরিচিতি থেকে কংগ্রেসের নাম মুছে ফেললেও হার্দিকের দাবি, তিনি এখনও কংগ্রেসে রয়েছেন। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর অবস্থান নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন