হাসি মুখে কামান দাগা একেই বলে।
গত সপ্তাহে অবসরের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ বলেছিলেন, ‘‘হাসিখুশি থাকলে আশপাশের মানুষও হাসিখুশি থাকেন।’’ এ বার এক সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নতুন অস্বস্তিতে ফেলে তিনি জানিয়ে দিলেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে বাইরে থেকে ‘রিমোট কন্ট্রোল’-এ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। কংগ্রেসের দাবি, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ‘কাঠপুতুল’ ছিলেন। বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।
বিচারপতি দীপক মিশ্র প্রধান বিচারপতির আসনে বসার মাস চারেক পরে চার প্রবীণ বিচারপতি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা বজায় থাকছে না। ওই চার জনের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি জোসেফ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের মনে হয়েছিল, কেউ বাইরে থেকে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমরা নিশ্চিত, প্রধান বিচারপতি নিজের মত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন না।’’
কংগ্রেস দাবি তুলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জবাব দিতে হবে কেন বিচারবিভাগের কাজে নাক গলানো হচ্ছিল? কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘এর তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে। স্বাধীন বিচারবিভাগীয় তদন্তও প্রয়োজন। আমরা আগেই বলেছিলাম, মোদী সরকার বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপ করছে। সেটাই প্রমাণ হল।’’
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘এ বার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে কাঠপুতুলের মতো ব্যবহার করছিল। নরেন্দ্র মোদী ন্যায়বিচারের সবচেয়ে বড় মন্দিরকেও ছাড়েননি।’’