আন্তর্জাতিক আদালতে কুলভূষণের বিপক্ষে পাকিস্তানের যে আইনজীবী সওয়াল করেছিলেন, এ বার তাঁকে নিয়ে শুরু হল কংগ্রেস-বিজেপি তরজা। আর এই তরজার মধ্যে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের এক বিজেপি নেতার নাম। কুলভূষণ মামলায় পাকিস্তানের যে কৌঁসুলি খাওয়ার কুরেশি সওয়াল করে এখন পাকিস্তানেই সমালোচনার মুখে, তাঁকেই আজ থেকে ১৩ বছর আগে ভারত সরকার আইনজীবী নিয়োগ করেছিল বলে হল্লা শুরু করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, জাতীয়তাবাদের ভাবনাকে শিকেয় তুলে ২০০৪-এ ইউপিএ সরকার এই খাওয়ার কুরেশিকেই দাভোল বিদ্যুৎ প্রকল্প মামলায় নিয়োগ করেছিল। আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়ে ভারত যেভাবে আপাতত স্বস্তি পেয়েছে, তারপর গোটা দেশে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলতে চাইছে বিজেপি। সেই সূত্র ধরেই টেনে আনা হয়েছে ১৩ বছর পুরনো মামলাকে। কিন্তু বিকাল গড়াতেই বিতর্কের মোড় ঘোরাতে শুরু করে কংগ্রেস। তাদের পাল্টা অভিযোগ, সেই পাকিস্তানি কৌঁসুলিকে নিয়োগের পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরই এক বিজেপি নেতার সলিসিটর ফার্ম।
কংগ্রেসের এই যুক্তিকে খণ্ডন করে বিজেপির আইনজীবী নেতা অমন সিনহা বলেন, কুলভূষণের পক্ষে প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে মামলা লড়েছেন আন্তর্জাতিক আদালতে। ১৩ বছর আগে তিনিই দাভোল মামলাটি লড়ছিলেন। কিন্তু ২০০৪-এ কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ভারত তাঁকে সরিয়ে পাকিস্তানের আইনজীবীকে নিয়ে আসে।বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বিজেপি নেতা সোম মন্ডল বলেন,‘‘আমার সংস্থা যখন এই মামলার দায়িত্ব পায় তার আগেই খাওয়ার কুরেশির নিয়োগ হয়ে গিয়েছিল। আইনি পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মিলন বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল মামলাটি লড়েছিলেন স্যার আর্থার ওয়াটস। কুরেশি তাঁর জুনিয়র ছিলেন। সাইমন ব্রাউন উইলকিলসনকেও এই মামলায় নিয়োগ করা হয়।’’ সোমবাবু জানান, সব সিদ্ধান্তের পিছনে ছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সিলমোহর।