Goa Assembly Election

Goa Assembly Election 2022: গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট নয়, জানাল কংগ্রেস

শনিবারই তৃণমূলের গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেত্রী মহুয়া মৈত্র বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস-সহ সব দলের একসঙ্গে আসার কথা বলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের জোটের সম্ভাবনা পত্রপাঠ খারিজ করে দিল কংগ্রেস।

Advertisement

রবিবার রাতে বিদেশ থেকে ফেরার পরে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দলের নেতাদের সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন। গোয়া নিয়ে বৈঠকে রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পি চিদম্বরম ও সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল।

শনিবারই তৃণমূলের গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেত্রী মহুয়া মৈত্র বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস-সহ সব দলের একসঙ্গে আসার কথা বলেছিলেন। যার পরে চিদম্বরম বলেছিলেন, বিজেপিকে হারাতে কেউ যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করতে চান, তা হলে ‘না’ বলার কিছু নেই। ‘আনুষ্ঠানিক’ প্রস্তাব এলে তখন তা বিবেচনা করা যাবে। আজ রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে ওই প্রসঙ্গ ওঠে। তার পরেই রটে যায়, কংগ্রেস গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা ভাবছে। কিন্তু গোয়ায় সদ্য পা রাখা এবং কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়ে নিজের দিকে নিয়ে আসা তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে কেন কংগ্রেস ভাববে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

এর পরেই বেণুগোপাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, রাহুল তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন বলে গুজব পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে। কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী, যে দল নিজেই গোয়াকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।

এত দিন এক দিকে তৃণমূল অভিযোগ তুলছিল, গোয়ায় কংগ্রেস ঠিকমতো বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। উল্টো দিকে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে। কিন্তু শনিবার মহুয়ার বক্তব্য কংগ্রেস, তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিল। বেণুগোপাল আজ কার্যত তাতে জল ঢেলে দিলেন।

আজ গোয়ায় বিজেপির এক মন্ত্রী ও এক বিধায়ক দল ছেড়েছেন। মন্ত্রী মাইকেল লোবো ও বিধায়ক প্রবীণ জ়ান্তিয়ে, দু’জনেই কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্য বিজেপির দাবি, এতে দলের ভোট ভবিষ্যতে আঁচ পড়বে না।

মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্তের যুক্তি, কয়েক জনের দলত্যাগে সুশাসনের কর্মসূচি ব্যাহত হবে না। মন্ত্রিত্ব ও বিজেপি ত্যাগের পরে লোবো জানিয়েছেন, কয়েকটি দলের সঙ্গে তাঁর কথা চলছে। লোবোর কথায়, “ভোটাররা আমাকে বলেছেন, বিজেপি আর সাধারণ মানুষের দল নেই। তাদের কাজকর্মে সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট।”

কংগ্রেসের মধ্যে অবশ্য লোবোর মতো বিজেপি নেতাকে দলে টানা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সঙ্গে জোট করেছে। তৃণমূল মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন