প্রতীকী ছবি।
নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে ভোটের ফলাফল গত কালই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে কংগ্রেসের। ঠিক পরের দিন সুখবর এল বসুন্ধরা রাজের রাজ্য থেকেও।
বিজেপি-শাসিত রাজস্থানের ২৬টি জেলায় গত সপ্তাহে উপনির্বাচন হয়েছিল জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পুরসভার বেশ কিছু আসনে। আজ তার ফল বেরোতে দেখা গেল, সিংহভাগ আসনই ছিনিয়ে নিয়েছে রাহুল গাঁধীর দল। গত কাল মহারাষ্ট্রের একটি নির্বাচনে, তার ঠিক আগে পঞ্জাবের পুরভোটেও জয়জয়কার হয়েছে কংগ্রেসের। ফলে হাসি চওড়া হওয়ারই কথা নতুন কংগ্রেস সভাপতির।
ভোট হওয়া চারটি জেলা পরিষদ আসনের সব ক’টিতেই জিতেছে কংগ্রেস। যে ২৭টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে ভোট হয়েছে, তার ১৬টিতে জয় কংগ্রেসের, বিজেপির ১০টিতে, নির্দল ১টিতে। পুরসভার ৭টি ওয়ার্ড দখল করেছে কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন ৬টি ওয়ার্ডে।
দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট মনে করিয়ে দিয়েছেন— ভোট কিন্তু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬টি জেলায়। কাজেই রাজ্য জুড়েই যে বিজেপিকে নিয়ে মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে, এই ফলাফল তার প্রমাণ।
গুজরাতের গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতেই কংগ্রেস টেক্কা দিয়েছিল বিজেপিকে। রাজস্থানে গ্রাম-শহর মিলিয়েই কমবেশি দাপট দেখিয়েছে কংগ্রেস। যে জেলাগুলিতে ভোট হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে উদয়পুর, ভিলওয়ারা, বিকানের, জোধপুর, বাংসওয়াড়া, দৌসা, প্রতাপগড় ইত্যাদি। বাংসওয়াড়া জেলা পরিষদে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী রাজেন্দ্র পাতিদার। কাজেই এই জয়েও গুজরাতের ছায়া দেখছেন অনেকে।
আগামী বছর ভোট রাজস্থানে। পায়লট বলেছেন, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপির দিন ফুরিয়েছে। গত চার বছর ধরে গ্রাম ও শহরের মানুষকে একই ভাবে অবহেলা করে এসেছে বিজেপি।’’ সামনেই লোকসভার দু’টি ও বিধানসভার একটি আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। পায়লটের দাবি, সেই ভোটেও জিতবে কংগ্রেস।