মাঝপথে থম্‌কে পর্যটক নিবাসের নির্মাণকাজ

ডিমা হাসাও জেলায় পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রশাসন কার্যত কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা পাহাড়ি জেলায় ভিড় জমালেও, তাঁদের রাত্রিবাসের জন্য ভাল অতিথি নিবাসের অভাব রয়েছে।

Advertisement

বিপ্লব দেব

হাফলং শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০১:৪১
Share:

অসমাপ্ত। হাফলংয়ে অর্ধনির্মিত পর্যটক আবাস। ছবি: নিজস্ব চিত্র

ডিমা হাসাও জেলায় পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রশাসন কার্যত কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা পাহাড়ি জেলায় ভিড় জমালেও, তাঁদের রাত্রিবাসের জন্য ভাল অতিথি নিবাসের অভাব রয়েছে। হাফলং থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে পানিমূর জলপ্রপাতে অনেকেই গিয়েছেন। কিন্তু পর্যটকদের বেশিরভাগেরই বক্তব্য, বেহাল রাস্তা তো বটেই, পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য থাকার ভাল ব্যবস্থা সেখানে নেই। তা-ই জলপ্রপাতটি দর্শনীয় হলেও, ফের সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা কারও থাকে না।

Advertisement

জেলার বাসিন্দাদের একাংসের বক্তব্য, পানিমূরের কাছে কয়েক কোটি টাকা খরচে অতিথি নিবাস তৈরির কাজ মাঝপথেই থম্‌কে গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, সেটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা হবে। কিন্তু অভিযোগ এখানে থেমে নেই। বিরোধী শিবিরের একাংশের বক্তব্য, সরকারের তহবিল থেকে পর্যটন নিবাস নির্মাণের নামে পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন জায়গায় অর্ধসমাপ্ত ভবন তৈরি করে রাখা রয়েছে। কিন্তু ভিতরে কোনও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। এমনকী সেখানে বহাল নেই কোনও কর্মীও। অভিযোগ, উমরাংশু পর্যটন নিবাসের দেখাশোনার দায়িত্ব কার্যত জোর করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সংস্থার সদস্য বঙ্কিম হাফলংবার জানান, উমরাংশু পর্যটন নিবাসের দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দিতে হলে এখনও অনেক কাজ করাতে হবে।

পার্বত্য পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারও পাহাড়ে পর্যটনের উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন