আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতে আপত্তি, তাঁর গান গেয়েই প্রতিবাদ

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে দেননি এক সহকারী অধ্যাপক এমনই অভিযোগ উঠেছিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘আগুনের পরশমণি’র সুরে মাতলেন ছাত্রছাত্রী, বিধায়ক, সাধারণ মানুষ, শিক্ষকদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১০
Share:

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে দেননি এক সহকারী অধ্যাপক এমনই অভিযোগ উঠেছিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘আগুনের পরশমণি’র সুরে মাতলেন ছাত্রছাত্রী, বিধায়ক, সাধারণ মানুষ, শিক্ষকদের একাংশ।

Advertisement

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ১৪ অগস্ট নবীন বরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে ওই গানটি গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনিপাল্লি হরি তাতে আপত্তি তোলেন। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা গান গাইলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দেন তিনিপাল্লি। ওই অধ্যাপক অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সে দিন তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আমার কোনও অনিচ্ছাকৃত আচরণ কারও আবেগকে আহত করলে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিলচরের নাগরিক সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ডিন রঞ্জুরানি ধামালার কাছে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে তিনিপাল্লি জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের আগে ছাত্রছাত্রীরা অনেক ক্ষণ ধরে তাঁর ঘরের সামনে মহড়া দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁদের শুধু অন্য কোথাও সরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন।

এ দিনের প্রতিবাদে হাজির ছিলেন এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপাচার্য রামেন্দু ভট্টাচার্য এবং দেবাশিস ভট্টাচার্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য সোমনাথ দাশগুপ্ত তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ২১ অগস্টের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের দাবির জেরে এ দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল তিনিপাল্লিকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ অধ্যাপক অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement