রাজ্যের ছ’টি উপজাতি জনগোষ্ঠীকে তফসিল মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
আজ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নির্বাচনী ইস্তাহারে এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাই-আহোম, মটক-মরাণ, কোচ-রাজবংশী, চা জনগোষ্ঠী ও চুতীয়াদের তফসিল মর্যাদা দিতে আমরা দায়বদ্ধ।’’
উল্লেখ্য, শান্তি আলোচনার টেবিলে এই দাবি তুলেছে আলফাও। কিন্তু, অসমের প্রধান বিরোধী দল এআইইউডিএফ ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। রাজ্যের অন্য ২২টি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদলও গুয়াহাটি ও দিল্লিতে সমাবেশ করে ছ’টি জনগোষ্ঠীকে তফসিল উপজাতির মর্যাদা দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে। বিরোধিতা করেছে সারা অসম ট্রাইবাল মহাসংঙ্ঘও।
এ দিন সোনোয়াল বলেছেন, ‘‘সকলের সম্মতি নিয়েই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে অনেকে আপত্তি তুলেছেন। অনেকে ভাবছেন, ওই ছ’টি জনগোষ্ঠীকে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হবে পারে। কিন্তু তাঁরা তফসিল উপজাতির মর্যাদা পেলেও, অন্য কারও স্বার্থে আঘাত লাগবে না।’’
এ দিকে, গত কাল দিসপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে আটাসু, আক্রাসু ও ছ’টি জনগোষ্ঠীয় ঐক্যমঞ্চের তরফে দাবি করা হয়— লোকসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ঝুলিয়ে রেখে বিজেপি বিধানসভা ভোটেও ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। বড়ো ও যে সব সংগঠন তাঁদের তফসিল মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, তাদেরও তীব্র সমালোচনা করেন যৌথ মঞ্চের নেতারা।
তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সোনোয়াল এ নিয়ে রাজনীতি করে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ও ভুল বোঝাবুঝি বাড়াচ্ছেন। তাঁরা হুমকি দেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা তফসিল তালিকাভুক্ত না হলে নির্বাচনে বিজেপিকে তীব্র বাধার সম্মুখীন হতে হবে।