রেকর্ড রোগী গুজরাতে
Coronavirus

স্বাস্থ্যখাতে কম বরাদ্দ, উদ্বেগ স্থায়ী কমিটির

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মনে করছে, করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধির ফলে সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার ঘাটতি দেখা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজধানীর সঙ্কট বাড়াচ্ছে কোভিড। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে গুজরাতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে ১৫১৫ জন রোগী বেড়েছে। গুজরাতে এটি রেকর্ড। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪৪২ জন রোগী বেড়েছিল গুজরাতে। সেই ইস্তক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে এত বেশি মানুষ কখনও সংক্রমিত হননি। আজ আরও ৯ জনের মৃত্যুর পরে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৪৬। আমদাবাদে কার্ফু চলছে। কিছু শহরে নৈশ কার্ফু জারি করতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে।

Advertisement

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মনে করছে, করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধির ফলে সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলি কোভিড চিকিৎসায় মাত্রাছাড়া টাকা চাইছে। আজ কমিটির চেয়ারম্যান রামগোপাল যাদব রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর হাতে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তুলে দেন। অতিমারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা নিয়ে এই প্রথম রিপোর্ট দিল সংসদের কোনও কমিটি।

কমিটির বক্তব্য, দেশের বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রের বরাদ্দ অত্যন্ত কম। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই ভঙ্গুর অবস্থার জন্য কোভিড অতিমারির মতো এত বড় সঙ্কট সামলাতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হচ্ছে। তাই রিপোর্টে জনস্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। পরিষেবার এই ঘাটতির কারণে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়ে কমিটি বলেছে, সরকারি হাসপাতালে যে শয্যা রয়েছে, তা ক্রমশ বেড়ে চলা কোভিড রোগীর সংখ্যা সামাল দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। এ দিকে, বেসরকারি

Advertisement

হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কোনও আচরণবিধি না-থাকায় রোগীদের থেকে মাত্রাতিরিক্ত

টাকা চাওয়া হচ্ছে। অতিমারি পরিস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ঘাটতির দিকটি নির্দেশ করে সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ালে এই সঙ্কট কিছুটা কাটতে পারে। কমিটির মতে, শুধুমাত্র সামর্থ্য রয়েছে, এমন নাগরিকরাই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন তা হয় না। বরং এর সুবিধে প্রত্যেকে যাতে পান, সেই ‘মহান লক্ষ্যের’ পথে এগোতে হবে।

করোনার টিকা নিয়ে জোরকদমে গবেষণার মধ্যেই একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, গত অগস্টে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক ডোজ় নেওয়ার পরে এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বায়োটেকের টিকা নিয়ে প্রথম দিকে তাড়াহুড়ো করার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কাজেই স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থ হওয়ার ঘটনাটিকে কেন তখন প্রকাশ্যে আনা হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সংস্থার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিষয়টি ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, ওই অসুস্থতার সঙ্গে টিকার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

রিলায়্যান্সের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী আজ বলেছেন, ‘‘করোনাকে প্রতিহত করার লড়াইয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্বে এসে দাঁড়িয়েছে ভারত। এত দূর আসার পরে সতর্কতা অবলম্বন না-করলে সবই বিফলে যাবে।’’ এ দিকে, সিভিল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ জন। প্রতিষ্ঠানের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘‘ক্যাম্পাসে ৪২৮ জন শিক্ষানবিশ অফিসার রয়েছেন। আমরা ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন