Coronavirus in India

Coronavirus in India: রাজ্যে রাজ্যে ছড়ালেও প্রমাণ ছাড়া ডেল্টা প্লাসকে এখনই শক্তিশালী বলতে রাজি নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ আইসিএমআর জানিয়েছে, ১০টি রাজ্য এবং ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২১ ১৯:২৪
Share:

ডেল্টা প্রজাতির শক্তিশালী কি না, তা জানতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ছবি: সংগৃহীত।

দেশ জুড়ে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণকে এখনই অতি গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, দেশের ১০টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনার এই প্রজাতির সংক্রমণ দেখা দিলেও তা যে ডেল্টা প্রজাতির থেকে বেশি শক্তিশালী, তা প্রমাণ ছাড়া বলা যাবে না। ডেল্টা প্রজাতিটি সত্যিই ডেল্টার থেকে শক্তিশালী কি না, তা জানতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে মন্ত্রক। ডেল্টা প্লাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে তা নিয়ে রিপোর্ট হাতে আসার আগে পর্যন্ত মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থাগুলির কর্তারা তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, গুজরাত, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, রাজস্থান এবং কর্নাটকের মতো রাজ্য এবং জম্মুর মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৪৮ জনের দেহে এতে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর মতে, সংক্রমণকে স্থানীয় স্তরেই আটকাতে হবে। তিনি বলেন, “সংক্রমণের ক্লাস্টার পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা রুখতে হবে।”

ডেল্টা প্লাসের চরিত্র জানতে ওই প্রজাতির জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি)। শুক্রবার তা নিয়ে সবিস্তার তথ্য দিয়েছেন এনসিডিসি-র ডিরেক্টর সুজিতকুমার সিংহ। করোনার ডেল্টা প্রজাতি (যা অনেকের কাছে ভারতীয় প্রজাতি নামে পরিচিত)-র থেকে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি শক্তিশালী কি না, তা নিয়ে এখনই কোনও ধারণা তৈরি করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

সুজিত বলেন, “(ডেল্টা) প্লাস হল করোনার একটি অতিরিক্ত প্রজাতি। এর অর্থ এই নয় যে তা ডেল্টা প্রজাতির থেকে বেশি শক্তিশালী। অন্তত নামের অর্থ তেমন নয়। এ নিয়ে কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া গেলে, আমরা অবশ্যই জানাব।” যদিও ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ কতটা শক্তিশালী তা যে অচিরেই জানা যাবে না, তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন সুজিতকুমার। তাঁর কথায়, “যে কোনও প্রজাতির সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা গড়ে তুলতে সময় লাগে। জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে ১০-১২ দিন প্রয়োজন। তা ছাড়া, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতিই দায়ী কি না, তা দেখার জন্য রাজ্যগুলির থেকে হয়তো ডেল্টা প্লাসের সংক্রমিতদের আরও নমুনা চেয়ে পাঠানো হবে।”

প্রসঙ্গত, এ দেশে গত ডিসেম্বরে ডেল্টা প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তার পর থেকে চলতি মাসে তার সংক্রমণ ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি-সহ দেশের ৩৫টি রাজ্যের ১৭৪টি জেলায়। এনসিডিসি-র মতে ডেল্টার থেকেও করোনার আলফা প্রজাতি বেশি শক্তিশালী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন