Coronavirus

নিজেদের রাজ্য চিন্তা বাড়াচ্ছে মোদী-শাহের

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আমদাবাদ শহর আগামী সাত দিনের জন্য সম্পূর্ণ শাটডাউন থাকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৬:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিজের রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি বাড়তি মাথাব্যথা হয়ে উঠছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গুজরাতে গত এক দিনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৩৯৪। যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবে ওই রাজ্যে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৪০২। স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে ক’টি রাজ্য নিয়ে সব চেয়ে উদ্বেগে, তার একেবারে শীর্ষে রয়েছে গুজরাত। মোট সংক্রমণের নিরিখে এই রাজ্য মহারাষ্ট্রের পরেই।

Advertisement

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আমদাবাদ শহর আগামী সাত দিনের জন্য সম্পূর্ণ শাটডাউন থাকছে। দুধের ডিপো, ওষুধের দোকানের মতো পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ। পরিস্থিতি সামলাতে গত কাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে বায়ুসেনার বিমানে আমদাবাদে গিয়েছেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। বলা হচ্ছে, গুজরাতে আশঙ্কাজনক রোগীদের পরীক্ষামূলক ভাবে প্লাজ়মা দেওয়ার বিষয়টিতে সহায়তা করতেই তিনি গিয়েছেন। যদিও সূত্রের দাবি, বিজয় রূপাণীর সরকার কেন করোনা রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে, কেনই বা মৃত্যু-হার এত বেশি, তা খতিয়ে দেখবেন গুলেরিয়া। কংগ্রেসের সুরে আজ তৃণমূলও আমদাবাদে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য মোতেরা স্টেডিয়ামে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভাকে দায়ী করেছে।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় গোটা দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ৩,৩২০ জন। মোট আক্রান্ত ৫৯,৬৬২ জন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট সংক্রমণের নিরিখে মৃত্যুর হার ৩.৩ শতাংশ। সুস্থ হওয়ার হার ২৯.৯ শতাংশ। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ত্রিপুরা বাদে বাকি রাজ্যগুলি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। হর্ষ বর্ধন জানান, এই মুহূর্তে ভারত রোজ ৯৫ হাজার মানুষের করোনা-পরীক্ষা করতে সক্ষম। তিনি মেনে নেন, এখন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর দাবি, অনেক উন্নত দেশে যা পরিস্থিতি হয়েছে, ততটা খারাপ হাল ভারতের হবে না। তবু সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতেও দেশ তৈরি।

Advertisement

আরও পড়ুন: উপসর্গ কমলে টেস্ট ছাড়াই হাসপাতাল থেকে ছুটি, বিতর্কে নতুন কেন্দ্রীয় নিয়ম

আরও পড়ুন: বিবর্তিত হতে হতে করোনা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, বলছে গবেষণা

আজ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, আবু ধাবি থেকে বিশেষ বিমানে ফেরা তাঁর রাজ্যের দুই ব্যক্তির করোনা-সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। কেরলে ৫০৫ জন আক্রান্তের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি মাত্র ১৭ জন। তবে আরও অনেকে দেশ-বিদেশ থেকে ফিরবেন। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির জন্য তৈরি হতে আগামিকাল থেকে শুরু করে প্রতি রবিবার সারা কেরল শাটডাউন করা হবে।

প্রতিষেধক বানানোর লক্ষ্যে আজ ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে আজ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। তারা জানিয়েছে, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ভাইরাস স্ট্রেনকে চিহ্নিত করে তা গবেষণাগারে পৌঁছে দিয়েছে। প্রতিষেধক বানানোর পরবর্তী কাজ বিবিআইএলের গবেষণাগারেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement