Coronavirus in India

রোগীদের প্রাণ বাঁচান, অক্সিজেন চেয়ে মোদী, কেজরীবালকে আর্জি দিল্লির হাসপাতালের

শনিবার সকালে মুলচন্দ হাসপাতালের ‘এসওএস’ বার্তায় বলা হয়, ‘আমাদের কাছে ২ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন রয়েছে’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ১১:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিদ আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতে নরেন্দ্র মোদীর শরণাপন্ন হলেন দিল্লির মুলচন্দ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ‘এসওএস’ বার্তায় বলা হয়, ‘আমাদের কাছে ২ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন রয়েছে। হাসপাতালে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৩৫ জন। তাঁদের অনেকেই লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে। আমরা মরিয়া হয়ে সমস্ত নোডাল অফিসারদের নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি’।

Advertisement

মোদীর পাশাপাশি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকেও এই ‘আপৎকালীন আর্জি’ জানিয়েছে মুলচন্দ হাসপাতাল। এরপর কিছুক্ষণ পরে হাসপাতালের ডিরেক্টর মধু হান্ডা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে মাত্র আধ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। জানি না, পরিস্থিতির অবনতি হলে কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে।’’ পরে অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিস্থিতি সাময়িক ভাবে সামাল দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের নয়া ঢেউয়ের মধ্যেই শুক্রবার একই ভাবে অক্সিজেনের আর্জি জানিয়েছিল দিল্লির একাধিক হাসপাতাল। সকালে দিল্লির রাজীব গাঁধী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের হাতে মাত্র তিন ঘণ্টার অক্সিজেন আছে। বিকেল পৌনে পাঁচটায় গুরুগ্রামের ফর্টিস হাসপাতালের টুইট, ‘আমাদের কাছে আর ৪৫ মিনিটের অক্সিজেন আছে’। ম্যাক্স গঙ্গারাম হাসপাতালের তরফেও একই ভাবে এসওএস বার্তা পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির সময় কেজরীবাল সরকার জানিয়েছিল, রাজধানীর অন্তত ৬টি হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট চলছে। এরপর অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি রেখা পাল্লির বেঞ্চ বলে, ‘আমরা সকলেই জানি, এই দেশ চালাচ্ছেন ভগবান’।

Advertisement

পাশাপাশি, দিল্লিকে চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহের জন্যও কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শুক্রবার দিল্লিতে ৩৪৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। করোনা আবহে মৃতের এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতন করে ২৪,৩৩১টি সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন